জনশুমারি প্রকল্প : সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) আলোচিত-সমালোচিত ‘জনশুমারি ও গৃহ গণনা-২০২১’ প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। বুধবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রকল্পটির সার্বিক বিষয়ে অবহিত করা হবে।
বিবিএস কর্মকর্তারা জানান, করোনা পরিস্থিতি ও বার বার প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তন হওয়ায় লক্ষ্য অনুযায়ী জনশুমারির কাজ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান নতুন প্রকল্প পরিচালককে দায়িত্ব নেওয়ার পরই তিনি দ্রুততার সাথে জনশুমারির কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। নতুন পিডি দায়িত্ব নিয়েই প্রকল্পের তথ্য সংগ্রহের দিনক্ষণ ঠিক করেছেন। প্রকল্পের সার্বিক পরিস্থিতি আজকে জানানো হবে।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত হবে জনশুমারি ও গৃহ গণনা প্রকল্পের তথ্য সংগ্রহের কাজ। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের এই সিদ্ধান্তে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগেও জনশুমারির তথ্য সংগ্রহের তারিখ বেশ কয়েকবার পরিবর্তন হয়েছে। দেশব্যাপী একযোগে সাতদিন জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এজন্য ৩ লাখ ৯৫ হাজার ট্যাবলেট কেনা হচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহ গণনা-২০২২’ সুসম্পন্ন হলে এর প্রতিবেদন অল্প সময়ে প্রকাশ করা সম্ভব হবে। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ষষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহ গণনা’ বাস্তবায়ন করছে।
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্ভুল ও বিশ্বমানের পরিসংখ্যান প্রণয়নে প্রথম বারের মতো ডিজিটাল শুমারি পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জনশুমারিতে জিআইএস (জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম) ভিত্তিক ডিজিটাল ম্যাপ ব্যবহার করে ডিজিটাল ডিভাইস ট্যাবলেটের মাধ্যমে একযোগে দেশের সব খানা ও গৃহের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
জনশুমারি প্রকল্পের পরিচালক দিলদার হোসেন বলেন, আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন সারাদেশে জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে। তবে এর আগে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করব। সবার সহযোগিতায় একটা নির্ভুল জনশুমারি উপহার দিতে পারব।
উল্লেখ্য, ‘জনশুমারি ও গৃহ গণনা-২০২১’ প্রকল্পের আওতায় এ কাজ সম্পন্ন হবে। জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৭৬১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। করোনা সংকটে জনশুমারির কাজ বার বার পিছিয়েছে।
এসআর/এমএইচএস