ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে দফায় দফায় যে সংঘর্ষ চলছে তা কিছুক্ষণের মধ্যে থেমে যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এটা কিছুক্ষণের মধ্যেই কুলডাউন হবে এবং যারা এগুলো ঘটিয়েছেন তারা নিশ্চয়ই আইনের মুখোমুখি হবেন।’

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) ‍দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরের আগে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থতি পর্যালোচনা, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখাসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সংঘর্ষ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলছি, একটা ছোটো-খাটো ঘটনা নিয়ে তর্কাতর্কি-মারামারি পর্যায়ে চলে আসছে। আমরা দেখছি, সহিংসতা হয়েছে। ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি দেখছি, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী চরম ধৈর্যের সঙ্গে এগুলো লক্ষ্য করছেন এবং ব্যবস্থা নিচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শুনলাম ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়িতে অনেকেই আহত হয়েছেন। সাংবাদিক আহত হওয়ার কথাও শুনেছি। ছাত্র এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন।’ 

‘আমাদের পুলিশ কমিশনার সাহেব, আইজি সাহেব তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। সবকিছুর ওপর নজর রেখেই চরম ধৈর্য্যের সঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ করছে, আইজি সাহেব তদারকি করছেন।’

এত দীর্ঘ সময় পরও কেন সংঘাত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনা কুল ডাউন হবে। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে।’

নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, রাতের সংঘর্ষের সময় পুলিশ দ্রুত তৎপর হলেও সকালে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশকে ততটা উদ্যোগী দেখা যায়নি। 

এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ঢাকার পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। যদিও পুলিশ কমিশনার তখন কোনো বক্তব্য দেননি।

উল্লেখ্য, সোমবার মধ্যরাতে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় নিউ মার্কেট এলাকা। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এ সংঘর্ষে আরও ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা চন্দ্রিমা ও নূর জাহান মার্কেটের কিছু দোকানে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এসএইচআর/এসএম/জেএস