রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত ও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পপুলার হাসপাতাল, ইবনে সিনা, স্কয়ার হাসপাতাল ও আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অন্তত ৭৫ জন শিক্ষার্থী। 

শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ও ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের হামলার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন সারা দেশের শিক্ষার্থীরা। সহমর্মিতা জানিয়েছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। ফেসবুকে হ্যাশট্যাগ দিয়ে চলছে ‘স্ট্যান্ড উইথ ঢাকা কলেজ’ ক্যাম্পেইন।

এদিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজসহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা ‘শেম পুলিশ’, ‘বয়কট নিউ মার্কেট’ ক্যাম্পেইন চালাচ্ছেন।

মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে ইডেন কলেজ, আলিয়া মাদ্রাসা, তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে নীলক্ষেত যান এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

ইতোমধ্যে ঢাকা কলেজের সব হল ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বিকেলের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সোমবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী ও দুই ব্যবসায়ী আহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও।

এরপর মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে আবারও সংঘর্ষে জড়ান শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা। মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে তাদের ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। ছাত্রদের অনেকে হেলমেট পরে হাতে লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। বিকেল ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলছিল। সংঘর্ষে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। মারধরের শিকার হয়েছেন অন্তত নয়জন সাংবাদিক।

এআর/ওএফ/জেএস