বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম

সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় আনতে দু’দেশের (ভারত-বাংলাদেশ) বাহিনীদের মধ্যে (বিজিবি-ভারতের বিএসএফ) এবং কূটনৈতিকভাবে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) বিজিবি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর পিলখানায় বাহিনীর সদর দফতরে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

সীমান্ত হত্যা বন্ধে বিজিবির উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্ত হত্যার বিষয়ে আমরা উভয় দেশের সঙ্গে আলোচনা করছি। এটি শূন্যের কোঠায় আনতে আমরা কূটনৈতিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও সীমান্তবর্তী এলাকার জনগণকে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে সচেতন করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে তারা অবৈধভাবে সীমান্ত এলাকায় প্রবেশ না করেন।’

তিনি বলেন, ‘সীমান্তবর্তী এলাকার জনগণকে অর্থনৈতিকভাবে ও শিক্ষার মাধ্যমে উন্নত করে গড়ে তোলা গেলে সীমান্ত হত্যা অনেকাংশে কমানো সম্ভব।’

সকালে বাহিনীর সদর সফতরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজিবি দিবস-২০২০ এর উদযাপন করা হয়।

আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবির রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন করেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। এরপর বিজিবির ‘সীমান্ত গৌরব’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বিজিবি দিবস-২০২০ এর উদযাপন

দিবস উদযাপনের বিষয়ে মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবার বিজিবি দিবস খুব জাঁকজমকভাবে উদযাপন করা হয়। এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমিত আকারে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিজিবির পক্ষ থেকে ১০০ জেলেকে নৌকা দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের মাছ ধরার জন্য জাল দেওয়া হবে। দেশের জেলেরা যাতে দরিদ্রতা থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের জীবিকা উপার্জন করতে পারে সেজন্য আমরা এই কর্মসূচি নিয়েছি। তারা স্বাবলম্বী হলে জীবিকার সন্ধানে আর সীমান্তের ওপারে যাবে না।’

বিজিবির সাফল্য ও ব্যর্থতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সারা বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তির দিক দিয়ে এগিয়ে গেছে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশও এগিয়ে যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে বিজিবিকে এগিয়ে নিতে হলে বাহিনীতে আধুনিক টেকনোলোজি স্থাপন করা প্রয়োজন। এছাড়াও বিজিবির সকল সদস্যের প্রয়োজন টেকনোলোজিক্যাল প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা। আমাদের দেশের সীমানায় কিছু স্থান এখনও অরক্ষিত রয়েছে। অরক্ষিত জায়গাতে বিওপি স্থাপন করা গেলেও সীমান্তে হত্যাসহ নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।’

এআর/এফআর