পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, হাওরের বাঁধগুলো সাময়িকভাবে দেওয়া হয়। কৃষির ওপর এর প্রভাব আছে। বাঁধ নির্মাণের ফলে বোরোর ফলন অনেকটাই বেড়েছে।

রোববার ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত ‘বৈরি আবহাওয়ায় কৃষিজ উৎপাদন : অস্থিতিশীল বৈশ্বিক কৃষি পণ্যের বাণিজ্য’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এম এ মান্নান বলেন, বৈরি আবহাওয়ায় হাওরে বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে আশা করি, ৯০ শতাংশ বোরো ফলন ঘরে তুলতে পারব। বৈরি আবহাওয়া থেকে কৃষিকে বাঁচাতে নতুন নতুন কৌশল বের করতে হবে। কীভাবে কৃষিকে বাঁচাতে পারি, সে বিষয়ে আরও গবেষণা করতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষের মাথাপিছু আয় (বর্তমানে ২ হাজার ৫৯১ ডলার) বাড়ছে, ফলে বাজার থেকে কিনে খেতে পারছে। জাতীয় উন্নয়নের জোয়ার হচ্ছে। আমি কৃষির পাশে আছি। কৃষিতে আরও বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। 

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমানে কৃষিতে অর্জন নিয়ে দ্বিমত নেই। স্বাধীনতার পর কৃষির অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তবে কৃষির আরও বহুমুখীকরণ করতে হবে। কৃষিতে প্রযুক্তি ব্যবহারের বড় ধরনের অর্জন নেই। কৃষিকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। আসন্ন বাজেটে কৃষিতে আরও বেশি বরাদ্দ দিতে হবে। উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশেই কৃষিতে বরাদ্দ কম।

তিনি বলেন, কৃষিতে রপ্তানি খুবই কম। ১০ বিলিয়ন ডলার যদি হিসাব করি, তবে দেখা যাবে ৯ বিলিয়ন ডলারের সার, ডিজেলসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ আমদানি করি। অথচ এর বিপরীতে মাত্র ১ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি করি। এর মানে এখানে বড় ধরনের গ্যাপ রয়ে গেছে। সারে আমরা বড় ধরনের ভর্তুকি দিয়ে থাকি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন জাতীয় সংলাপ পরিচালনা করেন। ফোরামের গবেষণা সম্পাদক সুশান্ত সিনহা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন। এ সময় ফোরামের সভাপতি ইফতেখার মাহমুদও উপস্থিত ছিলেন।

এসআর/আরএইচ