অভিন্ন সংস্কৃৃতিতে সোনালী অধ্যায়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বিদ্যমান বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কেকে দুটি বন্ধুপ্রতিম দেশের জনগণের কল্যাণে আরও উচ্চতর পর্যায়ে এগিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক এখন ইতিহাসের একটি সোনালী অধ্যায় অতিক্রম করছে, যার ভিত্তি হচ্ছে অভিন্ন সংস্কৃৃতি, পারস্পরিক সমর্থন ও কল্যাণ এবং সদিচ্ছা। এ সম্পর্ক আরও বিকশিত হচ্ছে কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের লক্ষ্যে এ দুই দেশের জনগণ রক্ত দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের আগে দায়িত্ব পালনকারী ভারতের সাবেক হাইকমিশনার শ্রিংলা বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের সময় ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের গভীরতা প্রতিফলিত করে, যা গত কয়েক বছরে একটি নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
তিনি ভারতে বাংলাদেশ মিশনে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত লোগো অ্যান্ড ব্যাকড্রোপ ডিজাইন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
শ্রিংলা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করতে বাংলাদেশ এবং ভারতে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচিও তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বের ১৬টি নগরীতে যৌথভাবে এসব কর্মসূচি পালন করেছি।’
তিনি উভয় দেশের জনগণের চলাচলের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে দুই দেশের সরকারের গৃহীত যৌথ উদ্যোগের বিভিন্ন কর্মসূচির কথাও উল্লেখ করেন।
ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের জন্য তৎকালীন ভারত সরকার এবং তাদের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, ভারতের সমর্থন ছাড়া স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব ছিল না।
ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরকে ইতিহাসের সোনালী অধ্যায় হিসেবে আখ্যা দিয়েছে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়াদে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বন্ধন একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের মধ্যে কূটনীতির সম্পর্ক জোরদার হয়েছে। অন্যদিকে, দুই সরকার দুই দেশের জনগণের কল্যাণের লক্ষ্যে মৌলিক দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলোতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
পরে তারা যৌথভাবে লোগো এবং ব্যাকড্রপ ডিজাইন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ছয় বিজয়ীর মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন।
বাসস
এসএম