যানবাহনের সঠিক তথ্য সংরক্ষণে জরিপ দরকার
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার
সারাদেশের ছোট-বড় সব যানবাহনের সঠিক তথ্য সংরক্ষণে শুমারি বা জরিপ করা প্রয়োজন। জরিপটি বড় পরিসরে দেশব্যাপী করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) বড় পরিসরে প্রকল্প নিতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অডিটোরিয়ামে ‘বেসরকারি বাণিজ্যিক যান্ত্রিক এবং অযান্ত্রিক সড়ক ও নৌযান জরিপ -২০১৯’ এর প্রকাশনা মোড়ক উন্মোচনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘এ জরিপের পরিধি ও বিশ্লেষণে যা দেখছি তা জিডিপিতে বিশেষ অবদান রাখবে। এছাড়া এসডিজির অর্জনেও এ জরিপ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আমাদেরে সড়কের অনেক বিশৃঙ্খলা রয়েছে। বিআরটিএ হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর আমরা ৪ লাখ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দিচ্ছি। আমাদের জরিপের সঙ্গে বিবিএসের জরিপের তথ্যগত গ্যাপ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রত্যেক জেলায় অতিরিক্ত যানবাহন চলছে। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি চললে রাস্তায় শিফটের মাধ্যমে যানবাহন চালানোর নিয়ম রয়েছে। নিয়ম থাকলেও এটা মানা হচ্ছে না। যার ফলে সড়কে দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে। লক্ষ্য অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হচ্ছে না।’
বিজ্ঞাপন
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা একটি জিডিপি বেজ লাইন তৈরি করছি। অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছি। পরিবহন খাতে যে বিশৃঙ্খলা আছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। বিশৃঙ্খলার পেছনে আছে যত্রতত্র গাড়ি নামানো। আজকের এ পরিসংখ্যান আমাদের সঠিক হিসাব দিচ্ছে। পরিসংখ্যান আমাদের বলছে, এ খাতেও আমরা বেশ এগিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে নৌ পরিবহন ও সড়কখাতে বর্তমানে জিডিপির অবদান আসছে ৮.০ শতাংশ। আমাদের জিডিপির খাত ধীরে ধীরে সম্প্রসারিত হচ্ছে।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিবিএসের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত তথ্য ঘাটতি দূর করতে নানা ধরনের জরিপ করা হচ্ছে। ২০০৯ সালের পর ২০১৯ এর তথ্য উপাত্ত নিয়ে জরিপটি করা হয়েছে। আমরা জিডিপির একটা ভিত্তি বছর করছি। আগে আমাদের জিডিপির ভিত্তি বছর ছিল ২০০৫-২০০৬। নতুন ভিত্তি বছর ২০১৫-১৬ করার প্রক্রিয়ায় আছি।
এসআর/এমএইচএস