রাজধানীর আট এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ সমস্যা নিরসনে পাইপ লাইন প্রতিস্থাপন এবং অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে পাইপলাইন স্থানান্তরের কাজ করবে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।

কোম্পানির উপ-মহাব্যবস্থাপক (পাইপলাইন নির্মাণ বিভাগ) প্রকৌশলী সেলিম মিয়া স্বাক্ষরিত এক অফিসিয়াল চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ কাজ শেষ করার প্রক্রিয়া হিসেবে গত ৯ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) একটি সীমিত দরপত্র বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রকৌশলী সেলিম মিয়া চিঠিতে জানিয়েছেন, ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ সমস্যা সমাধানে এক থেকে তিন ব্যাসের ৫০ পিএসআইজি গ্যাস পাইপলাইন প্রতিস্থাপন ও সংশ্লিষ্ট সার্ভিস লাইন নির্মাণ করা হবে। সেই সঙ্গে অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ করতে ৬ ব্যাসের ৫০ পিএসআইজি গ্যাস পাইপলাইন স্থানান্তরের কাজ হবে।

যে আট এলাকায় এ কাজ পরিচালিত হবে
রাজধানীর উত্তর মুগদা এলাকার ওয়েসিস কিন্ডার গার্টেন থেকে হোল্ডিং ৬৩/ক পর্যন্ত। মাতুয়াইল পশ্চিম পাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম সড়ক এলাকায়। গ্রিনরোড স্টাফ কোয়ার্টারের উত্তর পাশের গলি এলাকায়। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক-সি, রোড ২/বি এলাকা। মনিপুরীপাড়া, ৬/ডি, ৫ নম্বর গেট, ফার্মগেটের সামনের গলি এলাকা। মিরপুর সেকশন ১১, ব্লক ডি, ওয়ার্ড ৫, এভিনিউ ৪ এলাকা। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের চত্ত্বর এলাকার গ্যাস পাইপলাইন পরিবর্তন এবং গুলশান-মহাখালী লিংক রোড, কড়াইল বস্তি বরাবর বিদ্যমান পাইপলাইন স্থানান্তর করা হবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ কাজটির দেখভাল করবে। পাশাপাশি কাজটিতে সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) এবং প্রকিউরিং এন্টিটি হিসেবে থাকবে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। সেই সঙ্গে কাজ শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে মালামাল স্থানান্তরের সময় থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে।

অন্যদিকে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির লিমিটেডের জনসংযোগ বিভাগ থেকে একটি গণসচেতনমূলক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, তিতাস গ্যাস অধিভূক্ত এলাকায় আবাসিক শ্রেণিতে গ্যাস সংযোগের জন্য যেসব আবেদনকারী ডিমান্ড নোট ইস্যুর বিপরীতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা জমা দেননি তাদের ডিমান্ড নোট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।

এএসএস/জেডএস