নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট গত ১৩ মে ‘ঢাবির ফার্মেসি অনুষদের সাবেক দুই ডিনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। এ সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রহমান।

রোববার (১৫ মে) পাঠানো প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, আপনার পত্রিকায় এক বেনামি চিঠির সূত্র ধরে ফার্মেসি অনুষদের ২ জন অধ্যাপককে নিয়ে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে যা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যমূলক ও মানহানিকর। কোনো তথ্যের ন্যূনতম সঠিকতা যাচাই না করে একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বেনামি চিঠির বক্তব্য এভাবে জনসম্মুখে উন্মুক্ত করে আপনি ও আপনার পত্রিকার সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার আমিসহ অন্য ২ জন অধ্যাপককে ভীষণভাবে মানহানি করেছেন। একটি তদন্তাধীন বিষয়ে অতি উৎসাহী হয়ে এ ধরনের ভুয়া, বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসূত সংবাদ প্রচার করে জাতির শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথা ফার্মেসি অনুষদকে কলঙ্কিত করেছেন। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এ ধরনের স্পর্শকাতর একটি বিষয়ে সব তথ্য না জেনে এরূপ প্রতিবেদন করা সম্পূর্নভাবে বেআইনি। গণমাধ্যমের কাছ থেকে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য ও দায়িত্বশীল আচরণ কাম্য। কিন্তু এভাবে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষকদের হেয় প্রতিপন্ন করা চরম অন্যায়। বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ সংবাদের সংশোধনীসহ আমার প্রতিবাদলিপি আপনার বহুল প্রচলিত পত্রিকায় প্রকাশের অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায় আমি এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হব।

তবে অভিযোগের বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি ঢাবির এই অধ্যাপক।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

আলোচ্য প্রতিবেদনটিতে উঠে আসা তথ্য ও বক্তব্য কোনোভাবেই প্রতিবেদকের মনগড়া নয়। বরং বেনামি চিঠিতে উল্লেখিত অভিযোগগুলো প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। বেনামি অভিযোগ দুদক আমলে নেয় এবং এই অভিযোগটিও দুদক গ্রহণ করেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিত উঠে এসেছে প্রকাশিত সংবাদে। দুদকে আসা এমন অভিযোগ সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করতে পারে। প্রতিবেদনে কোথাও বলা হয়নি ওই ‘অভিযোগ’ সত্য। কেবল অভিযোগ এসেছে- এটাই বলা হয়েছে। যেমন থানায় জিডি করলে জিডিতে যা যা লেখা থাকে তা সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও অনেক সময় জিডির তথ্য সরবরাহ করা হয়।  সুতরাং আলোচ্য সংবাদটির কোনো বক্তব্য ‘রিপোর্টারের মনগড়া’ নয়। দুদকে আসা অভিযোগ সংবাদে তুলে ধরা হয়েছে।

এইচআর/জেডএস