সরকারের অনুমতি ছাড়া কোথাও হাট-বাজার বসানো যাবে না। ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোথাও স্থায়ী হাট-বাজার বসানো হলে তা খাস হিসেবে গণ্য করে নেবে সরকার। এমন বিধান রেখে ‘হাট-বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) আইন-২০২২’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (১৯ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, ১৯৫৯ সালের অধ্যাদেশকে যুগোপযোগী করে আইনের খসড়া বানানো হয়েছে। এ আইনে ২৬টি ধারা রয়েছে। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইনের বিধান না মেনে কোথাও হাট-বাজার বসানো যাবে না। হাট-বাজার বসানো হলে ওই জমি খাস হিসেবে গণ্য করে নিয়ে নেবে সরকার।’

এসময় একটি মামলার উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মোহন মিয়ার একটি মামলা ছিল সরকারের সঙ্গে। উনি তখন কোর্টে গিয়ে এটি ব্যক্তিগত হাট-বাজার উল্লেখ করে মামলায় জিতে গেলেন। এটি বিখ্যাত একটি মামলা। পরবর্তীতে সরকার ডেফিনেশন পরিবর্তন করে বলল- যেখানেই কেউ হাট-বাজার বসাবে সেটি খাস জমি হয়ে যাবে। এখনও সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো হাট-বাজার বসানো যাবে না। এখানেও আগের ডেফিনেশন স্ট্যান্ড করবে।’

এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক অনুমতি দেবেন বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল। তিনি বলেন, ‘হাট-বাজারের কোনো জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত করা যাবে না। তবে এ সংক্রান্ত বিধিমালা অনুসরণ করে জেলা প্রশাসক অস্থায়ীভাবে একজনের বিপরীতে সর্বোচ্চ আধা শতক জায়গা দিতে পারবেন। এর বেশি একজনকে দেওয়া যাবে না। সরকার গেজেট দিয়ে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইনের অধীনে ক্ষতিপূরণ প্রদানের পর অথবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ৯২ ধারা অনুসারে খাস ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত তারিখ থেকে যেকোনো হাট ও বাজার দখল করতে পারবে।’

‘বছরে যদি একদিন হাট-বাজার বসে সেটা অন্য কথা। কিন্তু স্থায়ীভাবে হাট-বাজার বসলে সরকার ওই জমি নিয়ে নেবে’- বলেন তিনি।

এসএইচআর/এমএইচএস