ঢাকা উদ্যানের কয়েকটি বাসায় অন্তত ৩০টি অবৈধ গ্যাস সংযোগের তথ্য পেয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

তিতাস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করছিল ভবন মালিকরা। দুদকের অভিযানে এক বাড়িতেই ৯টি লাইন অবৈধ পাওয়া গেছে। অভিযানকালে দুদক টিমের উপস্থিতিতে কয়েকটি বাসার গ্যাস লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

মঙ্গলবার (২৪ মে) দুদকের সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার ও মো. আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে একটি টিম ধানমন্ডির তিতাস অফিস ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করে। দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক জানায়, ঢাকা উদ্যানের ৩ নম্বর রোডে এলাকায় প্রায় ৩০টি অবৈধ তিতাস গ্যাস সংযোগ দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ব্যবহার করছিল। অভিযোগ থাকলেও তিতাস গ্যাসের ধানমন্ডি অফিস থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে শুধু কিছু টাকা নিয়ে চলে যায়। এমন অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। টিম প্রথমে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে যায়। এরপর দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিজিএম ইঞ্জি. মো. নজিবুল হককে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা উদ্যানের রোড নং-৩, ব্লক-বি এর ৩০টি গ্যাস লাইনের সংযোগের রেকর্ডপত্র যাচাই করে। এ সময় গ্যাস সংযোগ গ্রহণের বৈধ রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে দুদক ও তিতাস গ্যাসের ৪ সদস্যের একটি টিম যৌথভাবে ঘটনাস্থলে যায়।

দুদকের অভিযান সূত্রে আরও জানা যায়, অভিযানকালে তিন তলা বিশিষ্ট একটি বাসার প্রতিটি ফ্লোরে তিনটি করে গ্যাসের লাইন পাওয়া যায়। এ সময় বাসার মালিক ও দায়িত্বরত ম্যানেজারের কাছ থেকে গ্যাস বিলের কপি চাইলে তারা দীর্ঘ সময়ে অপেক্ষা করিয়েও রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেনি। পরবর্তীতে তিতাস গ্যাসের প্রতিনিধিরা দুদক টিমের উপস্থিতিতে বাসার গ্যাস লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। দুদক টিম তিতাস গ্যাসের কর্তৃপক্ষকে উক্ত অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারকারী গ্রাহকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়।

দুদক টিম উক্ত এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত তিতাস গ্যাস কোম্পানির ম্যানেজার এবং সুপারভাইজারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারীদের তথ্য সংগ্রহ করে। যারা অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও দুদক জানিয়েছে। 

আরএম/ওএফ