ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেছেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থা এক নয়। দুই দেশের পরিস্থিতিও ভিন্ন। সামষ্টিক অর্থনীতিতে ভালো অবস্থানে থাকায় বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মেলানো ঠিক হবে না।

মঙ্গলবার (৩১ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো নয়। বাংলাদেশ নিজের অর্থনীতির উপর দাঁড়িয়ে থাকা সার্বভৌম দেশ। দুই দেশের পরিস্থিতির মধ্যে কোন মিল নেই। শ্রীলঙ্কার থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি অনেক বেশি দৃঢ়। এটা এমন দেশ যেটা সামষ্টিক অর্থনীতির দিক থেকে খুব ভালো করেছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও বিদেশি ঋণের পরিমাণ সন্তোষজনক।

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনউদ্দীন বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থাকা এবং ঋণ নেওয়ার সময় সতর্ক অবস্থানের কথা তুলে ধরেন পিটার হাস। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোন শর্তে ঋণ নিচ্ছে সে বিষয়ে খুব সতর্ক থেকেছে। আন্তর্জাতিক ঋণের ক্ষেত্রে চীন থেকে নেওয়া ঋণ তুলনামূলকভাবে কম এবং সেটির বেশির ভাগ এডিবি ও বিশ্ব ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া। সুতরাং শ্রীলঙ্কায় যা ঘটছে তার সঙ্গে বাংলাদেশকে মেলানো যায় না।  

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ফলে আন্তর্জাতিক পণ্যে বড় ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব, বিশেষ করে মূল্যস্ফীতির বিষয়টি সামনে এসেছে। এতে করে নিম্ন আয়ের মানুষের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার মতো চ্যালেঞ্জ বর্তমানে বাংলাদেশ মোকাবিলা করছে। তবে এসব চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার চ্যালেঞ্জের মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। আবারও বলছি, বাংলাদেশ খুব ভালো সামষ্টিক অর্থনীতি ব্যবস্থাপনার দেশ।

এনআই/আইএসএইচ