প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের মানুষ যেন নিরাপদ খাদ্যের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাদ্য পায়, সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যুক্ত হন তিনি। 

শেখ হাসিনা বলেন, যারা খাদ্যগ্রহণ করবেন তাদেরকে সুষম খাদ্যগ্রহণের জন্য সচেতন করা একান্ত প্রয়োজন। ভেজালের ব্যাপারে আমি বলব, যে বা যারা ব্যবসা করতে চায় বা ব্যবসা করছে, দুই পয়সা বেশি কামাই করার জন্য তারা এই ভেজাল দিয়ে থাকে বা এই গন্ধ খাবার সেগুলোকে আবার ব্যবহার করে থাকে। এ ব্যাপারেও সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। ঠিক আছে আপনাদের যা খরচ হবে সেই অনুযায়ী দাম নেন, কিন্তু এভাবে ভেজাল দিয়ে মানুষের ক্ষতি করবেন না। একদিকে যেমন তাদেরকে বোঝানো তাদের ভেতরে সচেতনতা সৃষ্টি, অপরদিকে কঠোর হাতে এটাকে দমন করতে হবে। দুই দিকেই ব্যবস্থা নেওয়া একান্তভাবেই দরকার। সেই ব্যবস্থাগুলো আপনাদের নিতে হবে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কেন্দ্রীয় ফুড টেস্টিং ল্যাবরেটরি হবে। তার সঙ্গে বিভাগীয়ও করা একান্ত প্রয়োজন।‌ আমরা একশটা অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছি। সেখানে শিল্পায়ন হবে। এই শিল্পায়নে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত যাতে ফুড টেস্টিং করতে পারে তার সুযোগটাও থাকতে হবে। 

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের অনেক কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে, তবে একটা কাজ ভালো হয়েছে আমি মনে করি, মানুষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করে, বারবার হাত ধোয়া বা মাস্ক পড়া, নিজেদেরকে পরিষ্কার রাখা, এলাকা পরিষ্কার রাখা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে অনলাইনেও কিন্তু অনেক বেচাকেনা হচ্ছে। এমনকি খাবার-দাবারও ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। যারা এটা করছেন বা সঠিক খাদ্য দিচ্ছেন কি না সেদিকে নজরদারি বাড়ানো একান্তভাবে দরকার। এই ক্ষেত্রে আমাদের ডাক বিভাগকে আমরা উন্নত করতে চাই। যেন তারা ভালোভাবে পৌঁছে দিতে পারে, এটা সক্রিয় করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এইউএ/জেডএস