বক্তব্য রাখছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ

কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উত্তরণ এবং বাংলাদেশের অভিবাসনখাতের উন্নয়নের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এক পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। জনশক্তি, কর্মসংস্থান এবং প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক আয়োজিত ‘ন্যাশনাল লেভেল স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন অন সেফ মাইগ্রেশন এবং সাসটেইনেবল রিইন্টিগ্রেশন ইন দ্য কনটেক্সট অব কোভিড-১৯ ক্রাইসিস’ শীর্ষক অভিবাসনখাতের জাতীয় পর্যায়ের অংশীজনদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইমরান আহমদ বলেন, ‘কোভিড-১৯ শুধু আমাদেরই নয়, বিশ্বব্যাপী একটি অপ্রত্যাশিত মহামারি, যাতে আক্রান্ত হয়েছে প্রতিটি খাত। কোভিডের কারণে অভিবাসন খাতে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলা করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে এক ছাতার নিচে আসতে হবে, সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’

তাহলেই আমরা কার্যকরভাবে কোভিড মোকাবিলা করতে পারবো এবং এ খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ঘটাতে পারবো, যোগ করেন মন্ত্রী।

করোনা মোকাবিলায় প্রবাসী কর্মীদের জন্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘অভিবাসী কর্মীদের জন্য আমাদের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই সরকার তাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে তা যেন তিনি এবং তাদের পরিবার ভোগ করতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ‘অপ্রত্যাশিত কোভিড শুরু হওয়ার পর আমাদের সামনে মূলত পাঁচ ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রথমত যারা বিদেশে আছেন তারা কীভাবে সেখানে ভালোভাবে থাকতে পারেন, চাকরির নিশ্চয়তা পেতে পারেন। দ্বিতীয়ত যারা ফিরে আসতে চাইছেন তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন কীভাবে নিশ্চিত করা যায়। তৃতীয়ত যারা ফেরত এসেছেন তাদেরকে কীভাবে আবার পাঠানো যায়, চতুর্থত যারা দেশেই থাকবেন তাদেরকে কীভাবে সমাজে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা যায়। সর্বশেষ, নতুন করে কীভাবে আবার বৈদেশিক কর্মসংস্থান শুরু করা যায়।’

সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে আমরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছি, বলেন সচিব মুনিরুছ সালেহীন।   

অনুষ্ঠানে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূ নাথালি চুয়ার্ড বাংলাদেশের অভিবাসনখাতে সুইস সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শামসুল আলম। এতে অভিবাসনের সাম্প্রতিক চিত্র ও প্রবণতা নিয়ে বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীর খাইরুল আলম এবং নিরাপদ অভিবাসন ও কার্যকর পুনঃএকত্রীকরণের বিষয়ে কীভাবে সম্মিলিতভাবে কাজ করা যায়, সে বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান। 

এনআই/জেডএস