দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক জোট সার্ককে বিদ্যমান জটিলতা থেকে বাঁচাতে বাংলাদেশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব এসালা উইরাকুন।

সোমবার (৬ মে) ঢাকা সফররত সার্কের মহাসচিব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি সার্ক বাঁচাতে বাংলাদেশের সহযোগিতা চান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী সার্কের বর্তমান কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে মহাসচিবের কাছে জানতে চান। মহাসচিব দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সংযোগ স্থাপনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী ধারণা হিসেবে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। তিনি সার্ক ব্যবস্থার মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিভিন্ন পদ্ধতি সক্রিয় ও অনুপ্রাণিত করতে বাংলাদেশের সদিচ্ছার প্রশংসা করেন।

শাহরিয়ার আলম সার্কের লক্ষ্য বাস্তবায়নে এবং সহযোগিতার মাধ্যমে এ অঞ্চলে টেকসই ও সমন্বিত উন্নয়ন অর্জনে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন। প্রতিমন্ত্রী মহাসচিবকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে পরামর্শ অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন এবং এই অঞ্চল যে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে তা মোকাবিলায় সার্ক সহযোগিতাকে পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান জানান।

দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং নিজেদের মধ্যে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির দর্শন নিয়ে ১৯৮৫ সালে যাত্রা শুরু করে সার্ক। ওই বছরের ৭ থেকে ৮ ডিসেম্বর ঢাকা সম্মেলনের মাধ্যমে জোটটি সাংগঠনিক কাঠামো পায়। এর সদর দপ্তর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত।

এখন পর্যন্ত সার্কের ১৮টি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবশেষ ২০১৪ সালে নেপালে সার্ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানে সার্কের ১৯তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের উরির সেনা ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সম্মেলন বয়কট করে ভারত। ভারতের সঙ্গে যোগ দেয় বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ। এরপর থেকে মোটামুটি অকার্যকর দক্ষিণ এশিয়ার সম্ভাবনাময় এ সংস্থা।

এনআই/এসকেডি