চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জে ‘আয়না পড়া’র কথা বলে এক কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার দায়ে মো. হারুন বৈদ্য নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তিন লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৮ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা এ আদেশ দেন।

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খন্দকার আরিফুল আলম। 

তিনি বলেন, জোরারগঞ্জ থানার দায়ের হওয়া যৌন উৎপীড়ন ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে দুই জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দিয়েছেন। দণ্ড পাওয়া হারুন মামলার প্রথম থেকে পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জে ‘আয়না পড়া’র নাম করে এক কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায় হারুন। এই ঘটনার দিনেই জোরারগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি চার্জ গঠন করা হয়। ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজকে আদালত এই রায় দিয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় কিশোরীটি তার দূর সম্পর্কের নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তখন তারা নানার একটি পানির মোটর চুরি হয়। নানা তখন হারুন বৈদ্যের সঙ্গে দেখা করতে যায়। তখন হারুন বলে আয়না দেখে চুরি করা মোটর ও আসামিদের বের করে দিতে পারবে। তখন হারুন বলে কুমারি মেয়ে ছাড়া আয়না পরীক্ষা হবে না। তখন দূরসম্পর্কের নানা কিশোরীটিকে নিয়ে হারুনের কাছে যায়। একপর্যায়ে নানা ও নানীকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টা করে হারুন।  এরপর ২৩ জানুয়ারি জোরারগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

কেএম/আইএসএইচ