চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এতে সফলভাবে সম্পৃক্ত হতে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।

সোমবার (১৩ জুন) স্যামস্যাং রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করতে এসে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

সালমান এফ রহমান বলেন, রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স নিয়ে কাজ করতে হলে প্রথমে আমাদের কোডিংয়ের ভাষা শিখতে হবে। এজন্য আমরা প্রাইমারি স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের কোডিংয়ের ধারণা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি, যা পরে তাদেরকে দক্ষ প্রোগ্রামার হতে সহায়তা করবে।

প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা আরও বলেন, তথ্য প্রযুক্তিতে দেশের নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সরকার বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন করেছি। আমরা এখন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এসব কাজে কোরিয়া সবসময় আমাদের সহযোগিতা করে আসছে।

স্যামস্যাং রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশের তরুণ প্রকৌশলীরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে জেনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এবং স্যামস্যাংকে ধন্যবাদ জানান সালমান এফ রহমান।

ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানায়, এখানে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিদেশের মাটিতেও সুনামের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশি তরুণ প্রকৌশলীরা।

বাংলাদেশে অবস্থিত স্যামস্যাং রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে আরও বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি তরুণদের কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তার জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউনের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা।

এই সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন বলেন, বিশ্বের ১৪টি দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটটি চালু করা হয়েছে স্যামস্যাং গ্রুপের উদ্যোগে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের সহায়তায়। এখানে কর্মরত বাংলাদেশি গবেষকদের কাজে সেন্টার কর্তৃপক্ষ ও রাষ্ট্রদূত সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্কের ধারাবাহিকতায় আরও কোরিয়ান কোম্পানি এদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে এবং সেখানে বাংলাদেশি কর্মীরা কাজের সুযোগ পাবেন।

প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রদূত স্যামস্যাং রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পরিদর্শন করেন এবং গবেষণা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের প্রথম সচিব মি. ইয়ংমিন শি, কোরিয়া ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সি কতরার মহাপরিচালক মি. ডংহিউন কিম, স্যামস্যাং রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মি. উনমো কু, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার একান্ত সচিব জাহিদুল ইসলাম ভূঞা প্রমুখ।

এএসএস/জেডএস