ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে দুই দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। আর সেই বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর নিম্নাঞ্চলের সঙ্গে পানি উঠেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বহদ্দারহাটের বাড়িতে। এমনকি মেয়রের ঘরেও পানি উঠেছে। শনিবার (১৮ জুন) বিকেল পর্যন্তও মেয়রের বাড়ি থেকে পানি নামেনি। 

এই বিষয়ে চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ঢাকায় যাচ্ছি। শনিবার বেলা তিনটায় বাড়ি থেকে বের হয়েছি তখনও আমার বাড়িতে পানি ছিল।

জলাবদ্ধতার বিষয়ে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যে কাজ চলছে, তা পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত নগরবাসীকে এ ভোগান্তি পোহাতে হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি এ বছরও থাকবে সেটি আগেই বলেছি। আগে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর জলাধার ছিল। এখন সেগুলো নেই। এগুলো ভরাট হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলে পানিগুলো যাবে কোথায়?

মেয়র বলেন, নগরীর পানি গিয়ে নদীতে পড়ে, সেই নদীর নাব্য কমে গেছে। নদীর জোয়ারের পানিও নগরীতে উঠছে। আগ্রাবাদেও জোয়ারের পানি উঠে। জলাধারের ব্যবস্থা করতে হবে।

মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা থেকে নগরীকে মুক্ত রাখার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অধীনে যেসব খাল-নালা আছে তা নিয়মিত পরিষ্কার করছি। আমরা আমাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। নগরীর খাল নালাগুলোকে পরিষ্কার রাখতেই হবে।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর ২১টি খাল বেদখল হয়ে আছে, সংস্কারের অভাবে পড়ে আছে। সেগুলোকে সংস্কার করতে হবে।  চট্টগ্রাম নগরীতে ৫৭টি খাল। এর মধ্যে ৩৬টি খালের সংস্কারকাজ চলছে। আর বাকি ২১টি খাল তো অনেক প্রভাবশালী দখল করে রেখেছেন। এগুলোকে পুনঃখনন ও সংস্কার করে মোটামুটি একটা পর্যায়ে আনা গেলে জলাবদ্ধতা কিছুটা হলেও কমে যাবে।

এদিকে আবহাওয়া অফিস শনিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত গত  ২৪ ঘণ্টায় ১৭২ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। শুক্রবার রাত ৯টার পরে ভারী বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের চকবাজার, বাদুরতলা, দুই নম্বর গেট, বাকলিয়া, কাতালগঞ্জ, আগ্রাবাদ সিডিএ ও ষোলশহরসহ নগরীর নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়। নগরীর নিচু এলাকার অনেক বাসা-বাড়ির পার্কিং ও নিচতলায় বৃষ্টির পানি ঢুকে গিয়েছিল। অবশ্য শনিবার সকালের পর থেকে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় পানি নেমে গেছে। 

কেএম/এসকেডি