চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, পাহাড়ের যেসব স্থাপনা ঝুঁকিপূর্ণ মনে হবে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে। উদ্ধার করা জায়গায় যেন কেউ পুনরায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে, সেজন্য কাঁটাতারের বেড়া ও পিলার দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

শনিবার (১৮ জুন) দুপুরে আকবর শাহ থানার এক নম্বর ঝিলের ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনে এসে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

জেলা প্রশাসক বলেন, আজ ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চলছে। উদ্ধার করা জায়গা যেন আবার দখলে না যায়, সেজন্য কাঁটাতারের বেড়া ও পিলার দিয়ে দেবো। সেখানে গাছ লাগান হবে। এছাড়া মানুষের চলাচলের জন্য আমরা সীমানা নির্ধারণ করে দেবো। আমরা চাই, আগামী বছর থেকে পাহাড়ধসে যেন কোনো জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না হয়।

চট্টগ্রামের অন্যান্য পাহাড়েও ঝুঁকিপূর্ণভাবে মানুষ বসবাস করছে। তাদের উদ্ধার করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মমিনুর রহমান বলেন, পাহাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া। গতবছর আমরা ৪৬৫টি কাঁচা, সেমি-পাকা ঘর উচ্ছেদ করেছি। যারাই পাহাড়ের ঢালুতে অবৈধভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি স্থাপন করবে, তাদের উচ্ছেদ করা হবে।

তিনি জানান, হাটহাজারী ও সীতাকুণ্ড এলাকায় ঝুকিপূর্ণভাবে পাহাড়ে বসবাস করা ২৩৫টি পরিবারকে আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরও ৮৫টি পরিবার স্থানান্তর বাকি। আগামী জুলাই ও অগাস্টের মধ্যে তাদের জন্য বরাদ্দ করা ঘরগুলো নির্মাণ হয়ে যাবে। তারপর যারা ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে পুনর্বাসন করতে পারব।

কিন্তু বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সিটি করপোরেশন এলাকায় যারা পাহাড়ে বসবাস করছেন, তাদের পুনর্বাসন করা। তাদের বিষয়েও আমরা চিন্তা ভাবনা করছি। আমরা জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় একটি প্রকল্প নেওয়ার চেষ্টা করছি। সেটি করতে পারলে শহর এলাকার ভূমিহীন মানুষদের জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় পুনর্বাসন করতে পারব।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানার এক নম্বর ঝিলের বরিশাল ঘোনা এলাকায় অতি ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন। রোববার (১৯ জুন) দুপুর ১২টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

কেএম/এমএইচএস