বিশ্বব্যাপী মূল্যবৃদ্ধিজনিত পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর সারা দেশে দোকান, শপিং মল, মার্কেট, বিপণিবিতান খোলা না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যা আজ সোমবার থেকে কার্যকর হয়েছে। প্রথম দিন রাজধানীর বড় বড় শপিং মল ও বিপণিবিতানগুলো যথা সময়ে বন্ধ হলেও ফুটপাতে আগের মতোই বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। 

রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, এলিফেন্ট রোড, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, মৌচাক মালিবাগ, রামপুরা এবং বাড্ডা এলাকায় শপিং মল ও বড় বড় মার্কেট বন্ধ দেখা গেছে। কিন্তু এসব মার্কেটের সামনের সব ফুটপাতে আগের মতোই পণ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে। 

বসুন্ধরা সিটিতে আসা ক্রেতা ছারোয়ার হোসেন কবির বলনে, রাত ৮টা থেকে শপিং মল বন্ধের সিদ্ধান্ত সরকারের জন্য ভালো হলেও ক্রেতা ও ব্যবসায়ী উভয় জন্য খারাপ। 

আরেক ক্রেতা রকিবুল বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার সঙ্গে আমি একমত। রাত ৮টার পর দোকান খোলা থাকার দরকার আছে বলে মনে করি না। বিদ্যুতের মতোই গ্যাস, পানি সাশ্রয়ে সরকারে এই রকম উদ্যোগ নেওয়া দরকার।

মোতালেব প্লাজার দোকানি আমিনুল ইসলাম বলেন, এমনিতে রাত ৮টায় বড় শপিং মলগুলো বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ঈদের সময় এটা ১০টায় পর্যন্ত না করলে আমরা ক্ষতির মুখে পড়ব। গত কয়েক বছর করোনার কারণে এমনিতে ক্ষতির মুখে আছেন ব্যবসায়ীরা।

শাহবাগের আজিজ মার্কেটের একটি দোকানের কর্মচারী বলেন, সন্ধ্যার পর বেচাকেনা ভালো হয়। কিন্তু ৮টার পর দোকান বন্ধ করে দেওয়ার কারণে আমাদের আরাম হবে কিন্তু দোকানের বেচা কেনা কম হবে।

পান্থপথের ফুটপাতের বিভিন্ন ধরনের প্যান্ট বিক্রেতা মহসিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকার শুনছি নিয়ম করছে। কিন্তু নিয়ম মানলে আমাদের সংসার চলবে না। তাই পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে দোকান চালাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর সারা দেশে দোকান, শপিং মল, মার্কেট, বিপণিবিতান খোলা না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

এমআই/এসকেডি