ঢাকার হাটে চাঁদপুরের মুন্নাভাই ও কুষ্টিয়ার শেহের খান
এবার ঢাকার হাটে এসেছে ‘চাঁদপুরের মুন্না ভাই’ ও কুষ্টিয়ার ‘শেহের খান’। মুন্না ভাই নামের ব্রাহমা জাতের ষাঁড়টির ওজন ১১শ কেজি। বিক্রেতা এর দাম হাঁকছেন ১১ লাখ টাকা। আর অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান শেহের খানের দাম হাঁকানো হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা, ওজন ৪০ মণ।
সোমবার (৪ জুলাই) রাজধানীর আফতাবনগরে হাটে গিয়ে দেখা গেছে, গরু দুটি দেখতে মানুষ ভিড় করছেন। যেই আসছেন জানতে চাচ্ছেন দাম কত?
বিজ্ঞাপন
কেউ কেউ দাম শুনে চলে যাচ্ছেন আবার কেউ কেউ জানতে চাচ্ছেন কী খাওয়ানো হয়? বিক্রির দাম কত? ব্যবসায়ীদের দাবি এখন পর্যন্ত মুন্না ভাইয়ের দাম সাড়ে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। আর শেহের খানের দাম উঠেছে ১০ লাখ টাকা।
চাঁদপুরের মুন্না ভাই গরুটির মালিক মুন্না তালুকদার। তার সঙ্গে আসা সুমন পাটোয়ারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, খড়-ভূষিসহ দেশীয় খাবার খাওয়াচ্ছি। বাড়ি থেকে আসার সময় দাঁত ছিল ৫টি এখন দাঁত ৬টি। তিনি বলেন, গত ৫ বছর ধরে গরুটি পালন করছি। এবার বিক্রির আশায় হাটে এনেছি।
বিজ্ঞাপন
মুন্না তালকুদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৫ বছর ধরে গরুটিকে খইল, কলাই, খর ও আর ভূষি খাওয়ানো হয়েছে। অনেক আদর করে বড় করেছি। এখন বিক্রি করতে এসেছি। আশা করছি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব।
• আরও পড়ুন : নবাব-সুলতান-লাল বাহাদুরের সঙ্গে খাসি ফ্রি
কুষ্টিয়ার মিরপুর থেকে আসা আসা নাইম ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গরুটি নাম দিয়েছি শেহের খান। ৪ বছর ধরে লালন-পালন করেছি। কাঁচা ঘাসের পাশাপাশি ছোলা, কুড়া, ভুট্টা, আখের গুড় খাওয়াচ্ছি। এছাড়াও ফল যেমন আপেল, মাল্টা খাওয়াচ্ছি।
তিনি বলেন, আমার গরুটির ওজন ৪২ মণ। এরমধ্যে মাংস পাওয়া যাবে ৩০ মণ। প্রতি কেজি ৭০০ টাকা হিসেবে এ গরু থেকে মাংস আসবে প্রায় ৮ লাখ টাকার। গরুটির দাম চাচ্ছি ১৫ লাখ টাকা, আশা করছি এই দামেই বিক্রি হবে। তিনি আরও বলেন, আমার স্বপ্ন ছিল একটি বড় গরু পালবো, আশা পূরণ হয়েছে। আশা করছি ভালো দামও পাবো।
আরও পড়ুন : ইউটিউবারের ওজন ৩০ মণ, ৭ লাখে বিক্রি করবেন খামারি
রাজধানীর মেরুল বাড্ডা থেকে আসা এক ক্রেতা বলেন, গরু বড়, কিন্তু দাম বেশি চাচ্ছে। তিনি বলেন, ফজরের নামাজ পড়ে হাঁটতে বেরিয়েছি, হাঁটতে হাঁটতে গরু দেখলাম। বাজারে বড় গরু আরও আসবে।
গরু হাটের ইজারাদার মিজানুর রমহান ধনু ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাজারে অনেক বড় গরু উঠেছে। আরও বড় গরু আসবে। তবে এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে এই দুটিই সেরা গরু। আজ-কাল একটু কম বিক্রি হবে। কিন্তু পরশু দিন থেকে বিক্রি শুরু হবে পুরো দমে।
এমআই/এনএফ