ডিএনসিসির মশকনিধন চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
ডিএনসিসির মশকনিধন অভিযান/ ফাইল ছবি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় মশকনিধন অভিযান শুরু হয়েছে শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি)। অভিযানে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন ড্রেন ও জলাশয়ে চতুর্থ প্রজন্মের লার্ভিসাইড নোভালিউরন প্রয়োগ করা হচ্ছে। মশা নিয়ন্ত্রণে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ডিএনসিসির এ অভিযান।
জানা গেছে, ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযান চলাকালে সর্বত্র মশার কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়া মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলররা অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
মশকনিধন কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কার্যকারিতা নিশ্চিত হয়েই মশার কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। খালগুলো মশার মূল প্রজননস্থল। ডিএনসিসির উদ্যোগে খালগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। ডিএনসিসি মেয়রের একটিই নির্দেশনা, যেকোনো মূল্যে মশা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়ার নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি একটি জরিপ চালিয়েছে। জরিপে উত্তর সিটির ৩ ও ১৬ এবং দক্ষিণ সিটির ৩৬ নং ওয়ার্ডে এডিস মশার উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। গত ৩১ জানুয়ারি জরিপের এমন ফলাফল প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়ার নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি। জরিপে এ তিনটি ওয়ার্ডে মশার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ১৬ দশমিক ৬৭ পাওয়া গেছে।
ঢাকা উত্তর সিটির মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বর সেকশন এলাকা নিয়ে ৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং ইব্রাহিমপুর ও কচুক্ষেত এলাকা নিয়ে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত। ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড গড়ে উঠেছে পুরান ঢাকার রাধিকামোহন বসাক লেন, আওলাদ হোসেন লেন, কোর্ট হাউজ স্ট্রিট, শাঁখারীবাজার ও রায় সাহেব বাজার এলাকা নিয়ে। দুই সিটিতে এডিস মশার উপস্থিতি এসব এলাকায় বেশি।
জরিপের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত বছরের ১৮ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ দিন ধরে দুই সিটি করপোরেশনের ৯৮টি ওয়ার্ডের ১০০টি স্থানে এ জরিপ চালানো হয়েছে। ডিএসসিসির ৫৯টি এবং ডিএনসিসির ৪১টি স্থানের মোট তিন হাজার বাড়িতে জরিপ চালানোর পর এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এএসএস/এসএসএইচ