আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি দিবস আজ সোমবার। দিবসটি স্মরণে ডাক অধিদপ্তর স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটাকার্ড প্রকাশ করেছে।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ বিষয়ে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট ও একই মূল্যের একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন। এ সময় ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ড উদ্বোধন করা হয়। এ বিষয়ে একটি সীলমোহর ব্যবহার করেন মন্ত্রী।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর ১৯৬৯ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের এক ঐতিহাসিক সিঁড়ি তৈরি হয়।

দিবসটি স্মরণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার একটি বিবৃতি দেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলার স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের ২৩ বছরের ইতিহাসের একটি বিস্ময়কর ও গৌরবময় ঘটনা। এ মামলাকে কেন্দ্র করেই ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রলীগের রাজপথের সৈনিক হিসেবে তিনিও অংশ নেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৬৮ সালের ২১ এপ্রিল পাকিস্তান সরকার বিচার প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেয়। ১৯ জুন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্তদের বিচার শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ রাজপথে গণআন্দোলন গড়ে তোলে। সেই সঙ্গে জনসমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ বিশাল শক্তি নিয়ে মানুষের মাঝে নতুন চেতনার স্ফুরণ ঘটায়। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।

তিনি জানান, এ মামলার অভিযুক্ত প্রত্যেকের পরিবারকে সে সময় অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করতে হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় প্রতিদিনই তার পিতার সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। এক সময় শেখ মুজিবকে পাকিস্তান সরকার প্যারোলে মুক্তি দিতে চাইলে বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব শেখ হাসিনার মাধ্যমে শেখ মুজিবকে খবর পাঠিয়ে মুক্তি নিতে বারণ করেন।

বিবৃতিতে মোস্তাফা জব্বার বলেন, গণঅভ্যূত্থানে দিশেহারা আইয়ুব খান ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন এবং এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান।

স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটাকার্ড সোমবার থেকে ঢাকা জিপিওর ফিলাটেলিক ব্যুরোতে ও পরে দেশের অন্যান্য জিপিও থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

একে/এসএসএইচ