কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়লেও বিক্রি বাড়েনি। গরুর দাম নিয়ে চলছে ক্রেতা-বিক্রেতার পরস্পর বিরোধী অভিযোগ। তবে গতকালের তুলনায় শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে ক্রেতার উপস্থিতি বেড়েছে। রাজধানীর শাহজাদপুর হাটে সরেজমিনে এমন চিত্রই দেখা যায়। 

ঝিনাইদহ থেকে চারটি গরু নিয়ে এসেছিলেন আরিফুল। দুটি বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, গরু অনুযায়ী আশানুরূপ দাম বলছেন না ক্রেতারা।

এ সময় হাটে মানুষের উপস্থিতি দেখা গেলেও গরু বিক্রির হার কম দেখা যায়। ইজারাদারদের বসানো ৪ নম্বর হাসিল ঘরের কর্মী সুমন বলেন, গতকাল রাত থেকে বিক্রি একটু বেড়েছে। তবে হাটে এখনো প্রচুর গরু আছে। সেই তুলনায় বিক্রি নেই।

 

রাজধানীর নিউ ইস্কাটন থেকে শাজাহানপুর হাটে গরু কিনতে এসেছেন ব্যবসায়ী রকি। ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনলেও আরেকটি খুঁজছেন। তিনি বলেন, যে দাম তাতে গরু কেনার অবস্থা নেই। বাজেটের অনেক উপরে যাওয়ার পরও বিক্রেতারা গরু ছাড়ছেন না।

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ড থেকে ১৫টি গরু নিয়ে এসেছিলেন মোহাম্মদ সবদুল। ১০টি গরু বিক্রি করলেও হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। সবদুল বলেন, গরুগুলো বিক্রি করে লাভ করতে পারিনি। বাড়িতে যে গরুর দাম হয়েছে ৪ লাখ ঢাকায় এসে তার দাম হচ্ছে ৩ লাখ টাকা। এ রকম হলে আমাদের আর ঢাকা আসা হবে না। 

তিনি বলেন, কাস্টমার এখন আসছে, তবে নামাজের পর ছাড়া বিক্রি হবে না বলে মনে হচ্ছে। আমার কয়টা আছে, দেখি ভাগ্যে কী আছে।  

এইউএ/আইএসএইচ