ঈদুল আজহা উপলক্ষে তিন দিনের ছুটি সোমবার (১১ জুলাই) শেষ হয়েছে। আজ (১২ জুলাই) থেকে খুলছে অফিস-আদালত। হিসাবের ছুটি শেষ হলেও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে নেই মানুষের চাপ। অনেকটা ফাঁকা আসছে দক্ষিণাঞ্চলের জনপ্রিয় বাহন লঞ্চগুলো।

মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল ৮টা পর্যন্ত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে অর্ধশতাধিক নৌ-যান পৌঁছেছে। বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, ভোলা, পিরোজপুর ও বরগুনার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের ভিড় চোখে পড়েনি। একদিকে পদ্মা সেতু চালু ও অন্যদিকে ঈদের পরে আজ প্রথম কর্মদিবস। সব মিলিয়ে অধিকাংশ লঞ্চই অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরছে।

এদিকে অতিরিক্ত যাত্রী না থাকার কারণে নির্ধারিত সময়েই বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নৌ-যানগুলো ছেড়েছে। যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে সেগুলোকে টার্মিনালে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

বরিশাল থেকে আসা সুন্দরবন-১১ এর যাত্রী জাহিদ বলেন, সাধারণত ঈদের পরে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে বিকেলের মধ্যেই নৌ-যানগুলো বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রাজধানীর উদ্দেশে রওনা করে। কিন্তু গতকাল ভিন্ন চিত্র দেখা গেল। সাধারণ সময়ের মতো লঞ্চগুলো ৯টার দিকেই বরিশাল ছেড়েছে।

তিনি বলেন, আগের ঈদগুলোতে দেখেছি সদরঘাটে যাত্রী নামিয়ে লঞ্চ আবার বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেত। আজ সেগুলো টার্মিনালেই রয়ে গেছে। পদ্মা সেতু চালুর কারণে এবার লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের চাপ কমে গেছে। তার ওপর ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবস।

একই লঞ্চের কর্মচারী রাসেল বলেন, রাজধানীতে ফেরা মানুষের ভিড় এখনো চোখে পড়েনি। ঈদ শেষে আজ প্রথম কর্মদিবস হওয়ার কারণে যাত্রী কম। অন্যদিকে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সবাই সড়ক পথ ব্যবহার করছে। তারপরও সপ্তাহের শেষের দিকে আগের মতো ভিড় দেখা যাবে। ওই সময়ের ৯৫ শতাংশ প্রথম শ্রেণির টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চের যাত্রী আমিরুল বলেন, খুব ভোরে পরিবার নিয়ে সদরঘাটে নেমেছি। বাসায় যাওয়ার গাড়ির সংকট ছিল, তবে ভিড় নেই। সিএনজি চালকদের অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়ার প্রবণতা কমেছে। তারপরও যেহেতু ঈদ, এ কারণে কিছুটা বেশি ভাড়া দিতে হয়েছে।

যাত্রীদের চাপ না থাকায় টার্মিনালগুলো ফাঁকা। সকালে ফাঁকা দেখে গেছে রাজধানীর রাস্তাগুলোও।

আরএম/এমএইচএস