বাংলাদেশ এখন বায়ু দূষণে প্রায়ই শীর্ষ স্থানে থাকে। বিশেষ করে ঢাকা নগরী এবং আরও কিছু শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা ভয়ানক পর্যায়ে থাকে। কিন্তু বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে আলাদা কোনো আইন নেই। উদ্যোগ সত্ত্বেও সরকারের পক্ষ থেকে করা যায়নি পৃথক আইন। যদিও ২০১৯ সালে ‘নির্মল বায়ু আইন’ এর খসড়াও প্রণীত হয়েছিল।

এ অবস্থায় মঙ্গলবার (১২ ‍জুলাই) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব এবং পরিবেশ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন ন্যাচার লাভিং পিপল (এনএলপি)। এনএলপির পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি এহসানুল হক জসীম ডাকযোগে এ চিঠি পাঠান।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, খসড়া প্রণয়নের পর তিন বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও ‘নির্মল বায়ু বিল, ২০১৯’ আলোর মুখ না দেখায় অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন। সেই উদ্বেগের মধ্যে জানা গেল, এখন আর আইন প্রণয়ন হচ্ছে না। আইন না করে বিধিমালা করা হচ্ছে।

আইন প্রণয়নের অবস্থান থেকে সরে আসায় পরিবেশবাদী সংগঠন ন্যাচার লাভিং পিপল (এনএলপি) সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে আইন প্রণয়নের উদ্যোগে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে।

চিঠিতে দাবি জানানো হয়, নির্মল বায়ু আইনের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছিল তা অবিলম্বে আইনে পরিণত করা হোক। বিধিমালা প্রণয়ন থেকে সরে আসার অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।

এতে আরও বলা হয়, দেশে বায়ু দূষণ যে মাত্রায় পৌঁছেছে তাতে বিধিমালা দিয়ে কাজ হবে না। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন প্রণয়ন করে নানা উদ্যোগ নিতে হবে। আর যদি বিধিমালা করতেই হয়, সেটা নির্মল বায়ু আইন প্রণয়নের পর করা যাবে। এই আইনের অধীনে বিধিমালা করা যেতে পারে। আগে স্বতন্ত্র আইন প্রণয়নের জোর দাবি জানায় পরিবেশবাদী এ সংগঠন।

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাসিন্দাদের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ কোনো না কোনোভাবে বায়ু দূষণের শিকার হচ্ছে। এসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মানুষ কোনো দূষণের এলাকায় বাস করে। বায়ু দূষণে প্রতি বছর বাংলাদেশে মারা যায় ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষ।

জেইউ/এসএসএইচ