প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ফিরতি ভোগান্তি রোধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সেভ দ্য রোড। 

মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনামুক্ত রাখার লক্ষ্যে দেশের একমাত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ পুলিশ, ট্রাফিক বিভাগ, বিআরটিসি, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে কর্মরতদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেলে বিধিনিষেধ থাকায় সাধারণ মানুষ বাস-মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন পরিবহনের মালিক-শ্রমিকদের কাছে জিম্মি হয়েও ঈদযাত্রায় চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে ঈদে বাড়ি গেছে। 

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বিশেষ করে রেলওয়েতে ছিল চরম অব্যবস্থাপনা, টিকিট কিনেও হাজার হাজার যাত্রীকে রেলওয়ের ছাদে বসে বাড়িতে যেতে হয়েছে। একইভাবে বাস সার্ভিসে বনাট-ছাদ এমনকি মোড়া-বালতিবাহী হয়ে বাড়িতে ফিরেছে অসংখ্য যাত্রী; তার ওপর পরিবার-পরিজন নিয়ে যারা ঈদযাত্রায় ছিলেন, নির্মম জিম্মিদশায় বেহাল হয়েছে তাদের অর্থনৈতিক ও শারীরিক অবস্থা। ছিল লাইসেন্সবিহীন অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রীবহনের ঘটনাও। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ঈদের আগের দুই দিন থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন, মহাখালী বাস স্ট্যান্ড, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবীরা সার্বিক পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে- সবচেয়ে ভোগান্তি হয়েছে এবার গণপরিবহনে ঈদযাত্রা যারা করেছেন তাদের। এছাড়াও রেল কর্তৃপক্ষের চরম অব্যবস্থাপনার কারণে হাজার হাজার যাত্রীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে বসে বাড়িতে যেতে হয়েছে। 

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মাইক্রোবাস-গরুবাহী ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্স-পিকআপেও যাত্রীরা অর্থনৈতিক জিম্মি হয়ে ছুটেছেন বাড়ির পথে। সঙ্গে ছিল কোরবানির পশুর হাটের কারণে চরম জ্যাম আর ভোগান্তি। পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন সেতুতে ১০ থেকে ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছিল টোল আদায়ের সময়।

ঈদযাত্রার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে যেন রাজধানী ফিরতি মানুষদের না পড়তে হয়; সেদিকে দৃষ্টি রেখে অবশ্যই পুলিশ-প্রশাসন-মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে সেভ দ্য রোড নেতারা বলেন, টিকিট কালোবাজারি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, প্রয়োজনে বিআরটিসির ডিপোতে থাকা শতাধিক অতিরিক্ত বাস অনতিবিলম্বে কয়েকটি রুটে ভাগ করে যাত্রী বহনের ব্যবস্থা করতে হবে। কোথাও যেন যাত্রীকে জিম্মি করে ঈদের আগের মতো ৩/৪ গুণ ভাড়া আদায় করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্কতার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট টিম জেলা শহরের বাস স্ট্যান্ডে সক্রিয় রাখতে হবে, একইসঙ্গে দুর্ঘটনা এড়াতে হাইওয়ে পুলিশ-এর সতর্ক প্রহরা ৫ কিলোমিটার পর পর নিশ্চিত করতে হবে।    

সেভ দ্য রোডের চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া, শওকত হোসেন ও আনজুমান আরা শিল্পী বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।‌

এইউএ/জেডএস