তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে রাতে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। মূলত দেশটির নতুন সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়ানোসহ বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ কীভাবে আরও বাড়ানো যায় সেবিষয় তুলে ধরা হবে।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আসন্ন বৈঠকে সম্পর্কের সব বিষয়েই আলোচনা করা হবে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের আরও বিনিয়োগ চাই।

যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রথম দিন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সেক্রেটারি অব স্টেট) অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। সফরে বাইডেন প্রশাসনের জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি, চেয়ারম্যান অব দ্যা সিনেটর কমিটির প্রধানসহ আরও অনেকের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। এছাড়াও দেশটির দুটি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেবেন মোমেন।

অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে বৈঠক আলোচনা প্রসঙ্গ জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেখি আমরা কী নিয়ে আলাপ করতে পারি। আগে আলাপ করি তারপরে। কোনো স্পেসিফিক ইস্যু না, আমরা অনেক বিষয় নিয়ে আলাপ করব।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে কয়েকটি মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষ করে নতুন সরকার আসছে। নতুন সরকারের সঙ্গে…উই ওয়ান্ট টু বিল্ড বেটার এফোর্ড। বাংলাদেশ এবং আমেরিকার মধ্যে প্রচুর সম্ভবনা রয়েছে। আমেরিকা বড় দেশ। তাদের সঙ্গে আমরা যদি সম্পর্ক আরও ভালো করতে পারি তাহলে উইন-উইন।’

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের আরও বিনিয়োগ চান জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘আমাদের অনেক কিছু অফার করার সুযোগ আছে। আমেরিকা এক নম্বর ইনভেস্টর (বিনিয়োগকারী) ইন বাংলাদেশ। আবার এনার্জি সেক্টরসহ অন্যান্য সেক্টরও আছে। আমরা এখন নতুন করে শুরু করেছি ওষুধ সেক্টর নিয়ে, সেখানে পাঠাচ্ছি। আমরা এটা আরও বাড়াতে চাই। আমাদের অনেক সম্ভবনা আছে, সেগুলো তাদের কাছে জানাব।’

দেশটিতে গণমাধ্যমে সাক্ষাতের প্রসঙ্গে মোমেন জানান, বিচারবহিত হত্যাসহ বাংলাদেশ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচলিত ভুল ধারণা পোষণ করা সেগুলো সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরবেন তিনি।

এ সফরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম আত্মস্বীকৃত খুনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফেরানোর বিষয়টি তোলা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা আমাদের সব সময় থাকে। এটা আবার জিজ্ঞেস করছেন কেন? আগেতো আমরা বেশ অগ্রসর হয়েছিলাম। এখন নতুন সরকারের সঙ্গে কীভাবে কী করা যায় দেখি।’

গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মোমেনের সাক্ষাৎ করতে আসেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল বরার্ট মিলার। সেদিন বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বিলম্ব না করে দেশে ফিরিয়ে দিতে পুনরায় দেশটির সহায়তা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এনআই/এসএম