সমুদ্রগামী নৌকা বা জাহাজে চার মাসের মধ্যে নম্বর দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এজন্য নির্দিষ্ট কোনো রং ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। 

সোমবার (২৫ জুলাই) ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। 

আরও পড়ুন>> ৬ মাসে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হার ৬৬ শতাংশ

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য আইন অনুযায়ী একটি নীতিমালা করা হয়েছে। ২০টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে আমরা সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে একটা সিস্টেম আনতে পারি। এ বিষয়ে প্রথম কাজ শুরু হয়েছে। সমুদ্রে যতো নৌযান মাছ ধরে সেগুলোকে ইমেডিয়েটলি রেজিস্ট্রেশন করা, ডিফিকাল্ট হবে। তাই এ মুহূর্তে কালার করে নম্বর দিয়ে দেওয়া। যাতে সেগুলোকে আইডেন্টিফাই করা যায়। 

সবুজ, লাল অথবা যেটা দেওয়া হোক, সেটা নিয়ে আজ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইমেডিয়েটলি, নইলে আবার মিয়ানমারের কিছু নৌকা আমাদের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। এখন ২০-৪০ হাজার নৌকার মধ্যে বাইরের একটা নৌকা ঢুকলে তা চিহ্নিত করা মুশকিল হয়। ভারতের নৌকার কিন্তু একটা কালারও আছে রেজিস্ট্রেশন নম্বরও আছে। রেজিস্ট্রেশন নম্বর যেহেতু লাগবে সেজন্য আজ মন্ত্রিপরিষদ থেকে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মৎস্য সচিব জানিয়েছেন, তারা এরইমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু করেছেন, নম্বর তারা দিয়ে দিচ্ছেন, বলেন তিনি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, মন্ত্রিসভা থেকে বলা হয়েছে নম্বরের পাশাপাশি রংটাও দিয়ে দিতে। প্রিফারেবলি সুবজ, লাল না হলে যেটা কমফোরটেবল হয় সেটি দিয়ে দিতে হবে। নম্বর দিয়ে টাইম দিয়ে দেওয়া তিন চার মাস, এরপর আর নম্বর ছাড়া যেন কোনো নৌকা নামতে না পারে। রেজিস্ট্রেশন নম্বরটা দেবে মৎস্য অধিদপ্তর। চার মাসের মধ্যে নৌকা বা শিপ যেগুলো সমুদ্রে যাবে তাদের রং করে একটা নম্বর দিতে হবে। সেটা তারা ঠিক করবেন কোন কালারটা সুইটেবল হবে সমুদ্রের জন্য, দূর থেকে দেখা যাবে। আলোচনা আসছে লাল সবুজ করা যায় কি না। সেটা তারা টেকনিক্যাল বিষয় দেখে নেবে। 

এসএইচআর/জেডএস