ইঁদুর তেলাপোকার জন্য হক ব্রেডকে গুনতে হলো জরিমানা
দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হক ব্রেড অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস। তবে প্রতিষ্ঠানটি সুনামে যত বড়, কর্মে তার উল্টো চিত্র। লেবেলবিহীন, তারিখবিহীন ভেজাল পণ্য দিয়ে তৈরি করছে মিষ্টি ও বেকারি খাবার। খাদ্য উৎপাদনের জায়গা নোংরা ও অপরিষ্কার। চারদিকে ইঁদুর তেলাপোকার বিচলন। ফ্রিজে অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় কাঁচা মাংসের সঙ্গে রাখা হয়েছে সিঙ্গারা-সমুচা তৈরির কিমা।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় হক ব্রেড অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টসের ফ্যাক্টরিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ফ্যাক্টরিতে এমন দৃশ্য নিজ চোখে দেখেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতিশ্বর পাল। এ অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াহিদুজ্জামান, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক আব্দুল খালেক মজুমদার ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
বিএফএসএ জানায়, হক ব্রেড অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টসে অভিযানকালে ফ্যাক্টরিটিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেকারি আইটেম ও মিষ্টি উৎপাদন করতে দেখা যায়। ফ্যাক্টরিতে লেবেলবিহীন বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে মিষ্টি ও বেকারি খাবার প্রস্তুত করা হচ্ছে। উৎপাদন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ঘাটতিসহ তেলাপোকা ও ইঁদুরের বিচরণ দেখা যায়। রেফ্রিজারেটরে সিঙ্গারা-সমুচা তৈরির কিমার সঙ্গে কাঁচা মাংস সংরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া যায়। একই সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ কোমল পানীয় ও অননুমোদিত ফুড এডিটিভ জব্দ করা হয়।
এসব অপরাধে হক ব্রেড অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ জরিমানা তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।
অভিযানকালে জব্দ করা অস্বাস্থ্যকর মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার ও অন্যান্য উপকরণ ধ্বংস করা করেছে বিএফএসএ। এ সময় কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ভোক্তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে অনুমোদিত আমদানিকারকের আমদানি করা লেবেলযুক্ত ফুড এডিটিভ যাচাই করে ক্রয় ও ব্যবহারের নির্দেশনা দেয় বিএফএসএ।
এসআই/এসএসএইচ