বন্দরের স্টিকারযুক্ত গাড়িতে করে মদ পাচার
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের স্টিকারযুক্ত ‘ইমার্জেন্সি পাইলট ডিউটি’ লেখা একটি প্রাইভেটকারে করে বিদেশি মদ পাচারের সময় দুই জনকে আটক করা হয়েছে। এসময় গাড়িটিতে বন্দরের ওয়াকিটকিও সংযুক্ত ছিল।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাদের আটক করে কাস্টমস হাউজের ভেতরে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। এ চট্টগ্রাম কাস্টমসে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
আটক দুই জন হলেন- গাড়িচালক মন্টু চন্দ্র দাশ ও সিএনজি অটোচালক মো. মাসুদ রানা। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কাস্টমস হাউজের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বিদেশি ২০৯টি ৫০০ মিলিলিটারের হ্যানিক্যান বিয়ার, ২৪টি ১০০০ মিলিলিটারের পাসপোর্ট স্কচ ও ৭টি ব্যালেনটাইনস ফাইনেস্ট ব্লেন্ডেড স্কচ হুইস্কি উদ্ধার করা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতর থেকে ওই প্রাইভেটকারের মাধ্যমে মদ পাচার করে কাস্টমস হাউজের ভেতরে সিএনজি অটোরিকশায় তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাস্টমস হাউজের ভেতরে ডিউটিরত আনসার সদস্য রাতে সন্দেহজনকভাবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের স্টিকারযুক্ত প্রাইভেটকার, (ইমারজেন্সি পাইলট ডিউটি, গাড়ির অভ্যন্তরে বন্দর কর্তৃপক্ষের ওয়াকিটকি সংযুক্ত) যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর- চট্ট মেট্রো-গ-১২-৮১০৪, থেকে একটি সিএনজিতে মদ ও বিয়ার হস্তান্তরের সময় দায়িত্বরত আনসার দেখে ফেলে। তখন আনসার সদস্য গাড়ির চালকের কাছে জানতে চায় এগুলো কী পণ্য। তখন জবাব না দিয়ে সিএনজি ও পোর্টের স্টিকারযুক্ত প্রাইভেটকার উভয় গাড়িই দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেসময় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের মূল গেটে কর্মরত আনসার সদস্যরা দ্রুত গেট লাগিয়ে দেয় এবং গাড়ি দুটি আটক করে।
এসময় বিদেশি মদ উদ্ধারের পাশাপাশি প্রাইভেটকারের চালক মন্টু চন্দ্র দাশ ও সিএনজি অটোচালক মো. মাসুদ রানাকে আটক করা হয়। আটক মদ, গাড়ি ও দুই চালককে বন্দর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ নিয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা হয়েছে। কাস্টমস হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাসুম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে বন্দর থানার ওসি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আটক দুই জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে রিমান্ডে এনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
কেএম/এসএসএইচ