থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে সমাগম নয়
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম: সংগৃহীত ছবি
ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহর থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে লোক সমাগম ও পার্টি করতে দেওয়া হবে না। সন্ধ্যা থেকে ঢাকার বারগুলো বন্ধ থাকবে। রাত ৮টার পর সব ফাস্টফুড দোকানসহ মার্কেট বন্ধ রাখতে হবে।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
ডিএমপি কমিশনার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ ও ইংরেজি নববর্ষ ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠান সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে। বহু মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার কারণে লন্ডনে গ্রেড-৪ লকডাউন চলছে। তাই বাংলাদেশেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের অনুষ্ঠান সীমিত আকারে পালিত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
থার্টি ফার্স্ট এর নিরাপত্তা উপলক্ষে ডিএমপি কমিশনার বলেন, উন্মুক্ত স্থানে লোক সমাগম ও কোনো পার্টি করতে দেওয়া হবে না। হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোনো স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে হোটেলগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে। তবে কোনোভাবেই ডিজে পার্টি করতে দেওয়া হবে না। হোটেলগুলোতে অনুষ্ঠানের কারণে রাস্তায় যেন অতিরিক্ত যানজটের সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থার্টি ফার্স্ট নাইটে অনুষ্ঠান করা যাবে না।
বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে সমন্বয় সভায় নেওয়া নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে, প্রতিটি গির্জায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। গির্জায় আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। গির্জা এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকবে। কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনো ধরনের ব্যাগ, পোটলা, বাক্স, কার্টন ইত্যাদি নিয়ে র্গিজায় আসা যাবে না।
এছাড়া প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশ পথে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা, থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা, জীবাণুনাশক অটো স্প্রে মেশিন অথবা টানেল বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। গির্জার ফাদার ও দায়িত্বরত ব্যক্তিসহ সব ভক্ত দর্শনার্থীদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। সবক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশু দর্শনার্থীদের অনুষ্ঠানে আসতে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি অনুষ্ঠানস্থলে একমুখী চলাচল নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এআর/জেডএস