দুই সপ্তাহ পর থেকে মশা নিয়ন্ত্রণে আসবে, আশা তাপসের
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, মশার ওষুধ বা কীটনাশকের মান যেন ঠিক থাকে সেজন্য আমরা বারবার পরীক্ষা করাই। বেশিদিন ধরে যদি একই কীটনাশক বারবার ব্যবহৃত হয়, তাহলে সেটি মশার জন্য সহনশীল হয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমরা কীটনাশক পরিবর্তন করে দিচ্ছি। আগামী দুই সপ্তাহ পর থেকে নতুন কীটনাশক ব্যবহার করা হবে। আশা করছি, দুই সপ্তাহ পর থেকে মশা আরও বেশি নিয়ন্ত্রণে আসবে। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন মাঠ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মেয়র তাপস বলেন, অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মশক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শীত মৌসুমে যেহেতু পানির প্রবাহ কমে যায় তাই কিউলেক্স মশা বৃদ্ধি পায় এ সময়। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। আশা করছি আগামীতে মশা কমে যাবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই, প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত একটি করে খেলার মাঠ কিংবা উন্মুক্ত স্থান থাকুক, যেন আমাদের সন্তানরা খেলাধুলা করতে পারে। আমাদের কাজ বেগবান করছি যাতে করে নগরবাসীকে উন্নত ঢাকার সুফল আমরা দিতে পারি। আজ কমলাপুর সংলগ্ন টিটি পাড়া এলাকা পরিদর্শন করেছি। এখানে রেলওয়ের জমিসহ বেশ কিছু সরকারি জমি অবৈধ দখল অবস্থায় আছে। এসব জমি যেন আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়, সেজন্য আমরা চিঠি দিব। এসব স্থানে খেলার মাঠের ব্যবস্থা করতে আমরা কাজ চালিয়ে যাবো।
বিজ্ঞাপন
তাপস বলেন, যেসব স্থান আমরা দখলমুক্ত করছি সেগুলো কোনো প্রতিষ্ঠান বা ক্লাবকে দিবো না। ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি জায়গা আমরা দখলমুক্ত করেছি সেখানে উন্মুক্ত মাঠ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ চলছে। আগামী মাস থেকে সেখানে আমাদের সন্তানরা খেলতে পারবে। বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানি দ্বারা অবৈধভাবে বিল্ডিং করেছে। ভূমিদস্যুদের দ্বারা আমাদের শহর আগ্রাসনের শিকার। করপোরেশনের অনুমতি ছাড়া গড়ে ওঠা সব গৃহায়ণ প্রকল্প-হাউজিং প্রজেক্ট বন্ধ করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, বালু নদী ও রামপুরা খাল ভরাট করায় পানির প্রবাহ নেই। খাল পরিষ্কার কার্যক্রম মার্চ থেকে প্রসারিত করে এপ্রিল পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছি। আমরা পাম্প স্টেশনগুলো চালু করার পরিকল্পনা করেছি। একটি পাম্প ইতিমধ্যে চালু করেছি। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাকি পাম্পগুলো চালু করতে পারবো। আগামী বর্ষা মৌসুমের মধ্যে খাল কালভার্টের সংযোগগুলোতে যেন পানি প্রবাহ একটা অবস্থায় আনতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। পরিদর্শনকালে মেয়রের সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/আরএইচ