ফাইল ছবি

জ্বালানি তেলের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি ও লুটপাটের প্রতিবাদে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলো বিক্ষোভ সমাবেশ করে রোববার (৭ আগস্ট)। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এবার তাদের বিরুদ্ধে ‘পুলিশের ওপর আক্রমণের’ মামলা দিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (৮ আগস্ট) মামলাটি দায়ের করা হয় বলে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার অপারেটর মোসাদ্দেকুল হক।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, রোববার বাম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে দাঙ্গার উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লাঠিসোটা, ইটপাটকেলসহ পুলিশের কাজে বাধা দেওয়াসহ হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে গুরুতর রক্তাক্ত করে জখম করেছে।

এসব আক্রমণে ২১ জন সরাসরিভাবে অংশগ্রহণ করেছে বলে মামলায় উল্লেখ আছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিরা হচ্ছেন- ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সহ-সভাপতি অনিক রায়, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দীন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুনয়ন চাকমা, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সভাপতি তৌফিকা প্রিয়া, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়দীপ ভট্টাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য শান্তা ও ছাত্র ফেডারেশনের জুবা মনি।

এজাহারে সানি আবদুল্লাহ, জাবিল আহম্মেদ জুবেন, জাওয়াদ, বাঁধন, আদনান, শাহাদাত, ইভান, অনিক, দিয়া মল্লিক, তানজিদ ও তামজিদ নামের ১১ জনের নাম দেওয়া হলেও পরিচয় দেওয়া হয়নি।

রোববার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। সমাবেশের শেষ পর্যায়ে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে পুলিশ বাম সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হঠাৎ লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বাম সংগঠনগুলো। আহতদের বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।

এআর/জেডএস