চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্ভাবনাময় হলেও আশানুরূপ নয় বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী । বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। 

দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা হয়। 

হাইকমিশনার বলেন, উভয় দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে আরও বেশি সম্পর্কোন্নয়নের জন্য একটি কমন প্ল্যাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে। তিনি পাকিস্তানে বাংলাদেশি পণ্যের এবং বাংলাদেশে পাকিস্তানি পণ্যের একক প্রদর্শনীর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন এবং প্রচলিত পণ্যের বাইরে নতুন নতুন পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানান।

এসময় হাইকমিশনার উভয়পক্ষ যাতে সমানভাবে উপকৃত হয় সে লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। বাংলাদেশ মধ্য এশিয়াসহ পাকিস্তান থেকে প্রচুর পরিমাণে কাঁচামাল আমদানি করে থাকে। এক্ষেত্রে চীন-পাকিস্তান ইকনোমিক করিডোর (সিপিইসি) ব্যবহার করে সমুদ্রপথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য পরিচালনা করা হলে তা সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সফর বিনিময়, পর্যটন প্রসারে ট্যুর প্রোগ্রাম আয়োজন এবং সংশ্লিষ্ট ভিসা সহজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, পাকিস্তানে গড় ট্যারিফ বাংলাদেশ থেকে কম হলেও উচ্চ শুল্কের কারণে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে কোটা ও সংখ্যার সীমাবদ্ধতা ও মানগত বাধ্যবাধকতা এবং পাকিস্তান সরকারি এজেন্সি একচ্ছত্রভাবে আমদানি অন্যতম বাধা বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

চেম্বার সভাপতি বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের রপ্তানির তুলনায় আমদানি অনেক বেশি। শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করা, রুলস অব অরিজিন সহজ করা এবং সমুদ্র পথে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে করাচি বন্দরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সরাসরি ঢাকা-করাচি প্লেন যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের আহ্বান জানান চেম্বার সভাপতি।  

সভায় চেম্বার পরিচালক এস. এম. আবু তৈয়ব, অঞ্জন শেখর দাশ ও সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, বিএসআরএম’র চেয়ারম্যান আলী হুসেইন আকবর আলী, চেম্বারের সাবেক পরিচালক হাবিব মহিউদ্দিন এবং দূতাবাসের কমার্শিয়াল সেক্রেটারি মুহাম্মদ সুলেমান খান বক্তব্য রাখেন। এ সময় চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন) ও মো. আবদুল মান্নান সোহেল উপস্থিত ছিলেন।

কেএম/জেডএস