অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান | ছবি- ঢাকা পোস্ট

বিডিআর বিদ্রোহে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে সেই সময় সবার মাঝে ভীতির সঞ্চার হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত ‘সমৃদ্ধ জামালপুর ও মির্জা আজম’ বই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের জীবনের নানা দিক তুলে ধরা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় মনে হয় সরকারের পতন ঘটিয়ে নতুন ক্যু হতে যাচ্ছিল। সবার মাঝে একটা ভয় চলে এসেছিল। সেই সময়ে অনেকেই সাহসের সঙ্গে ভূমিকা রাখেন।

‘সেই মুহূর্তে অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম সাহসিকতার পরিচয় দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা নিয়ে মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে সাদা পতাকা হাতে পিলখানার বিডিআর হেডকোয়ার্টারে প্রবেশ করেছিলেন।’

তিনি বলেন, সেই বিডিআর বিদ্রোহে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের অনেক বেশি অপমানজনক আচরণ ও হুমকি সহ্য করতে হয়েছে। অবশ্য তারা সবকিছু উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন। আওয়ামী লীগের নেতারা সেদিন সফলভাবে আলোচনা করে সমঝোতায় পৌঁছান।

মুরাদ হাসান বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ দমনে নানক ও আজম ভাই যে ভূমিকা পালন করেছেন তা আমি আজ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তাদের কারণে দেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হয়েছে। দেশের জন্যে তারা অনেক কিছু করেছেন। আওয়ামী লীগের এখানেই বড় শক্তি, সবকিছু সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করেন নেতারা।

প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, একজন জনপ্রতিনিধির জীবনকে বইয়ের পাতায় তুলে ধরার জন্য আমি লেখকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রত্যাশা করি, এ বইয়ের মাধ্যমে মির্জা আজম এমপিকে আমাদের তরুণ প্রজন্ম জানতে পারবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ জামালপুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শফিকুল ইসলাম, ঢাকাস্থ মাদারগঞ্জ সমিতির মহাসচিব আইনজীবী জুলফিকার আলী বাবুলসহ বইটির লেখক মোহাম্মদ জাকিরুল ইসলাম।

একে/এমএআর