প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচির ১৯তম দিনেও সারাদেশে টিকা নিয়েছেন আরও এক লাখ ৮১ হাজার জন মানুষ। এর আগেও গত ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একই অঙ্কে ঘুরছিল টিকা গ্রহীতার সংখ্যা। তবে বিষয়টিকে পুরোপুরি ‘কাকতালীয়’ বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

টিকা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, গতকাল (২৪ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে মোট টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৮১ হাজার ৯৮৫ জন। তাদের মধ্যে মাত্র ৩৯ জনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এদিকে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৮১ হাজার ৪৩৯ জন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ২৭ জনের।

অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘সংখ্যাটা কাকতালীয়ভাবে মিলে যাচ্ছে। এখানে তো আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা সারাদেশে খোঁজ নিয়ে যে সংখ্যাটা পাচ্ছি, সেটাই যোগ করে আপনাদের দিয়ে দিচ্ছি।’

বৃহস্পতিবার টিকাদান বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়েছেন ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৯৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৮ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৫ জন, নারী ৯ লাখ ৯৪ হাজার ৬৭৫ জন। তাদের মধ্যে ৬৯৬ জনের মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা, হালকা জ্বরের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে; যা মোট গ্রহীতার শতকরা শূন্য দশমিক ০২৪ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে টিকা নিয়েছেন ৬৩ হাজার ২৪৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ হাজার ২৩৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৩ হাজার ৮৬৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৮ হাজার ২১৬ জন, রংপুর বিভাগে ১৬ হাজার ৭০১ জন, খুলনা বিভাগে ২৬ হাজার ১৮৬ জন, বরিশাল বিভাগে ৮ হাজার ৫১ জন এবং সিলেট বিভাগে ৭ হাজার ৯৪১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টিকা নিতে মোট নিবন্ধন করেছেন ৪০ লাখ ৫৭ হাজার ৯০৫ জন।

গত ২৭ জানুয়ারি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাঁচজনকে টিকা দেওয়া হয়। পরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় গণ টিকাদান কার্যক্রম।

জাতীয়ভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলছে। একইসঙ্গে ধীরে ধীরে টিকার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।

টিআই/জেডএস