প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মুগদার মান্ডা এলাকায় স্ত্রী নার্গিস আক্তারকে (৩৪) হত্যা করে বাহির থেকে দরজা লাগিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী রিকশাচালক রেজাউল হক পলাতক রয়েছেন।

শনিবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায় মুগদা থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল উদ্দিন মীর। 

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, মুগদার উত্তর মান্ডার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন নার্গিস আক্তার ও তার স্বামী রেজাউল। নার্গিস বাসা বাড়িতে কাজ করতেন এবং রেজাউল রিকশা চালাতেন। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া দেখতে পান প্রতিবেশীরা। এরপর গ্রামের বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েরা নার্গিস আক্তারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়ে খোঁজ পায়নি। শনিবার সকালে এক আত্মীয় বাসায় এসে দরজা বাইরে থেকে আটকানো দেখতে পান। দরজা খুলে ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন নার্গিসকে। পরে তিনি থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। সন্ধ্যার পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার পর থেকে স্বামী রেজাউল পলাতক রয়েছেন। নিহতের দুই চোখে বুকে ও গলায় আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরেধে হত্যা করা হয়েছে। স্বামী রেজাউলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এসএএ/এমএ