ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে সড়ক অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ৬টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করে। 

মামলা দায়েরের বিষয়টি বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, গতকালের ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানায় ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে মামলার আসামি করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন জঙ্গল সলিমপুর ও আলিনগরের বাসিন্দারা। বায়েজিদ লিংক রোড সংলগ্ন জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় অবৈধ বসতি উচ্ছেদে প্রশাসনের অভিযানের প্রতিবাদ ও বিচ্ছিন্ন করা বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়ে যায় মহাসড়কে। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে এবং টিয়ারশেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল মারেন বিক্ষোভকারীরা। তারা এসময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। 

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জঙ্গল সলিমপুর ও আলিনগরের কিছু মানুষ বিদ্যুতের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিল। প্রথমে তাদের বুঝিয়ে সরে যেতে বলি। এর মধ্যে বিকেলের দিকে জঙ্গল সলিমপুরের কিছু মানুষ সরে যায়। কিন্তু আলিনগরের সন্ত্রাসীবাহিনীর কিছু সদস্যের প্ররোচণায় কিছু মানুষ রাস্তায় থেকে যায়। পরে পুলিশ তাদের বলপ্রয়োগ করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।

তিনি বলেন, এ সময় দুই-তিনটি গাড়ির কাঁচ ভাঙচুর করেন বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে তারা গ্রামে ঢুকে যায়। 

সম্প্রতি জঙ্গল সলিমপুরে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করে সেখানে সরকারি স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় সরকারি খাস জমিতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, স্পোর্টস ভিলেজ, ক্রিকেট স্টেডিয়াম, আইকনিক মসজিদ, নাইট সাফারি পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা করার পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জঙ্গল সলিমপুর এলাকার বিভিন্ন অংশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এরপর সরকারের মন্ত্রী এবং উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা সেখানকার খাস জমি পরিদর্শন করেন। 

এর ধারাবাহিকতায় ২০ আগস্টের মধ্যে দখল করা খাস জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

কেএম/জেডএস