খুলনার বাগালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আব্দুস সাত্তারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। বিনা কারণে কয়রা থানা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন তার ওপর আক্রমণ করে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। 

বুধবার (২৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। 

তিনি বলেন, আমি একজন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা। এখনও পর্যন্ত ২ নং বাগালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্বে আছি। গত ১৭ আগস্ট আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য কয়রা যাই। সেখানে স্থানীয় মুজিবরের দোকানের সামনে পৌঁছালে কয়রা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন ছাত্রলীগের কর্মীরা আমার ওপর আক্রমণ করে। আমাকে বেধড়ক মারপিট করে। চার দিক থেকে আমার মুখে, মাথায়, বুকে, পেটে এবং পিছন দিক থেকে লাথি, কিল ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে পাশের জনগণ আমাকে উদ্ধার করে এবং আমি তখন অজ্ঞান হয়ে যাই। 

আমি জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে যাই। তিনি আমাকে মামলা করার কথা বলেন। পরে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা মিলে কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহাসিন রেজার কাছে যাই। তাকে সব জানানোর পর তিনি অপারগতা প্রকাশ করে বলেন যে, এই মুহূর্তে এমপি আক্তারুজ্জামান (বাবু) কয়রাতে আছেন। আমার পক্ষে  কিছু করার নেই আপনারা থানায় মামলা করেন।

মুক্তিযোদ্ধা সাত্তার আরও বলেন, মামলার ব্যাপারে থানায় অভিযোগ পত্র লিখতে চাইলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কয়রায় প্রতিটি কম্পিউটারের দোকানে দরখাস্ত না লেখার হুমকি দেয়। এজন্য কয়রা থানায় মামলা করতে পারেন নি। যে কোনো সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার ওপর আবার আক্রমণ করতে পারে। এমন পরিস্থিতে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেতেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। একইসঙ্গে প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাবলু রহমান, জাবেদ ঢালী প্রমুখ।

আইবি/এমএ