অফিসে বসে না থেকে কর্মকর্তাদের কৃষকের কাছে যেতে হবে : কৃষিমন্ত্রী
চট্টগ্রামের কৃষির উন্নয়ন বিষয়ে কথা বলছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক/ ছবি: ঢাকা পোস্ট
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম অঞ্চলে কৃষি উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করতে ৭২৫ কিলোমিটার খাল কাটার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কৃষিকে আধুনিক ও বহুমাত্রিক করতে ২১১ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের সুফল প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের কাছে পৌঁছাতে হবে। শুধু অফিসে বসে না থেকে কর্মকর্তাদের কৃষকের জমিতে যেতে হবে। প্রকল্পের সঙ্গে কৃষকের যোগাযোগ বাড়াতে হবে।’
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ হলে আয়োজিত চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
অঞ্চলভিত্তিক কৃষি বহুমুখী ও আরও লাভজনক করতে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘দেশের সকল মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য এবং পুষ্টির জোগান দিতে সমন্বিত চাষ বাড়াতে কর্মকর্তাদের আরও আন্তরিক হওয়ার পাশাপাশি কৃষকদের কাছে যেতে হবে। তাদের কথা শুনতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষি উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হয়। তাও নিরসনের চেষ্টা চলছে। কৃষি শুধু মানুষের খাদ্যের জোগান দেয় না, শিল্পের কাঁচামালেরও অন্যতম উৎস। তাই কৃষিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। করোনা মহামারি মোকাবিলায় কৃষি অন্যতম সহায়ক খাত হিসেবে কাজ করেছে।’
বিজ্ঞাপন
অঞ্চলভিত্তিক কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘যে অঞ্চলে যে ফসল ভালো হয় তার ওপর জোর দিতে হবে। কৃষকের আয় বাড়াতে কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাত, সংরক্ষণ ও বাজারজাত বাড়াতে হবে। শুধু অফিসে বসে না থেকে কর্মকর্তাদের কৃষকের জমিতে যেতে হবে। তাদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ ও নির্দিষ্ট ফসলের ভবিষ্যৎ চাহিদা বোঝাতে হবে। তবেই কৃষি উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।’
সভায় জেলাসমূহের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা নিজ নিজ জেলার কৃষির বর্তমান অবস্থা সমস্যা সম্ভাবনা ও করণীয় তুলে ধরেন।
তারা বলেন, দেশের প্রায় এক দশমাংশ এলাকা পাহাড়ে অবস্থিত। এসব পাহাড়ে প্রচলিত কৃষি পদ্ধতির পাশাপাশি অপ্রচলিত ফলের চাষাবাদ খুবই লাভজনক হবে। বিশেষ করে কাজুবাদাম, কফি ও ড্রাগন ফল উৎপাদনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে পাহাড়ি এলাকায়। কাজুবাদাম ও কফির বাণিজ্যিক উৎপাদন করতে পারলে তা দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানিও করা যাবে। ফলে এ অঞ্চলে কৃষি চাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ উইংয়ের সরেজমিন পরিচালক এ কে এম মনিরুল আলম, হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, অতিরিক্ত পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হুদা, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক পবন কুমার চাকমা বক্তৃতা দেন।
কেএম/এফআর