জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ে হিসাব যাচাই-বাছাই চলছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। সোমবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেল আমদানিতে করের ব্যাপারে আমাদের কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সেই সুবিধার কারণে আমরা চিন্তা করছি তেলের দাম সমন্বয় করতে পারব। সেটার হিসাব এখনও যাচাই-বাছাই চলছে। আমরা আশা করছি, এখানে হয়ত একটা পরিবর্তন আসবে। সরকার যেহেতু শুল্ক ছাড় দিয়েছে।

আরও পড়ুন : তিস্তার জট খোলা নিয়ে ‘নিশ্চয়তা’ দিতে পারেনি নয়াদিল্লি  

তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম আবার বেড়ে গেছে। প্রতি ব্যারেল তেলের দাম এখন ১৫০ ডলারের উপরে চলে গেছে, যেটা আগে ছিল ১৩০ ডলার। এই অবস্থায় আমরা দাম কতটুকু সমন্বয় করতে পারব সেটা চিন্তার বিষয়, কারণ এখানে ভর্তুকির বড় একটা অংশ আবার যোগ হবে। যখন ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ১১৪ টাকা ছিল তখন ৮ টাকার উপরে ভর্তুকি ছিল। এখন হয়ত সেই জায়গাটা আরও বাড়বে। দাম কমাতে কতটুকু সমন্বয় করতে হবে সে বিষয়ে এখনও আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।  

সমন্বয় কবে নাগাদ হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশা করছি কাল-পরশুর মধ্যে এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।  

তাহলে কি মাঠ পর্যায়ে সমন্বয়ের সুফল পৌঁছাতে আরেকটু সময় লাগবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মনে হয় তাই।

সমন্বয় বলতে কি দাম কমবে? জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি কখনোই দাম কম-বেশির কথা বলি না। আমি সমন্বয় করতে বলেছি। আমরা চাচ্ছি, ট্যাক্স যে ৫ শতাংশ কমল, সেটার কতটুকু প্রভাব পড়বে সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। আমদানির ক্ষেত্রে ট্যাক্স কমেছে কিন্তু খুচরা পর্যায়ে এটার প্রভাব আমাকে দেখতে হবে। আমরা চাই সমন্বয়টা যাতে বড় হয়। কিন্তু বাস্তবে সেটা সম্ভব হয় না। আবার বিশ্ব বাজারে তেলের দামও বেড়ে গেছে। এটা আমরা আশা করিনি। আমরা মনে করেছিলাম তেলের নিম্নমুখী প্রবণতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। কিন্তু যা বাস্তবতা ভিন্ন। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম আবারও বাড়ছে। এ অবস্থায় দেশের বাজারে তেলের দাম আবারও বেড়ে যায় কি না সেই ভয়ে আছি।  

এসএইচআর/এসকেডি