আগুন ও বিস্ফোরণে পুড়ে যাওয়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপো লিমিটেডে প্রাথমিকভাবে শুধু খালি কনটেইনার ওঠানো-নামানো ও সংরক্ষণের অনুমতি দিয়েছে কাস্টমস। ডিপো কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ আগস্ট চট্টগ্রাম কাস্টমস দুটি শর্তে অনুমতি দেওয়ার পর কার্যক্রম শুরু করেছে ডিপো কর্তৃপক্ষ। এখন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদনের জন্য কাস্টমসের কাছে আবেদন করেছে ডিপো কর্তৃপক্ষ। 

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএম কনটেইনার ডিপোর জেনারেল ম্যানেজার ক্যাপ্টেন (অব.) মাইনুল আহসান খান। তিনি বলেন, ডিএম ডিপোতে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কাস্টমের অনুমতি পাওয়ার পর খালি কনটেইনার ওঠানো-নামানো শুরু হয়েছে। 

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র ১৫ দিনের মধ্যে নেওয়া ও  ১৫ দিনের মধ্যে কাছাকাছি কোনো অগ্নিনির্বাপন কার্যালয় বা ফায়ার স্টেশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করার শর্তে তাদেরকে খালি কনটেইনার ওঠানো নামানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

গত ২২ আগস্ট অনুমতি পাওয়ার পর প্রতিদিন বন্দর ও কারখানা চত্বর থেকে খালি কনটেইনার ডিপোতে নিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। আবার ডিপো থেকে খালি কনটেইনার বন্দরে পাঠানো হচ্ছে।

এদিকে ডিপো কর্তৃপক্ষ সোমবার (২৯ আগস্ট) আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদনের জন্য কাস্টমসের কাছে আবেদন করেছে বলে জানা গেছে। 

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার নুর উদ্দিন মিলন জানিয়েছেন, বিএম ডিপোকে শর্ত সাপেক্ষে শুধু খালি কনটেইনার ওঠানো-নামানো ও সংরক্ষণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তার কাজ তারা শুরু করেছে। এরপর তারা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করার আবেদন করছে। তবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর অনুমতির বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

গত ৫ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভয়ঙ্কর এক বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ডিপোটির বিভিন্ন জায়গায়। এ ঘটনায় প্রথম দুই দিনে দমকলকর্মীসহ ৪১ জন মারা যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কয়েকজনের মৃত্যু হয় এবং ডিপোতে কয়েকটি দেহাবশেষ পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ জনে। এই অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ।

কেএম/জেডএস