বক্তব্য রাখছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী

নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করে না, অতি উৎসাহী কিছু প্রার্থী ও রাজনৈতিক কর্মী এ কাজ করে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের একটি ওয়ার্ডের নির্বাচনকে সামনে রেখে আয়োজিত প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সর্বোপরি একটি আইনানুগ নির্বাচন চায়। ভোটারদের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন, এটাই আমরা চাই। যখন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয় সামনে আসে, তখন কেউ ছাড় দিতে চায় না। সেক্ষেত্রে তারা নিরপেক্ষতার বিষয়টা ভুলে যান। ওনারা যেভাবেই হোক নির্বাচনে জয়লাভ করতে চান।

শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচন একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়। নির্বাচনে যদি সব দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে সে নির্বাচন তেমন ভালো হয় না। সিটি নির্বাচনে যেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা আসা করেছিলাম তেমন হয়নি।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনী ব্যয়ের শতকরা ৭৫ শতাংশ ব্যয় হয় শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে। এটা কি কারো জন্য কাম্য? আমরা হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করি নির্বাচনের জন্য। এটা সরকারের টাকা। আমার তো মনে হয়, প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী বাজেটের কয়েকগুণ বেশি খরচ করেন। সবাইকে নির্বাচনে অ্যাকটিভ হতে হবে। দেশের স্বার্থে আইন প্রয়োগ করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে বিএনপির পরাজিত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের করা মামলা আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে। নির্বাচন কমিশনের আইনে বলা আছে নির্বাচন নিয়ে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তিনি মামলা করতে পারবেন। তার জন্য কমিশন ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। মামলার শুনানিতে বিএনপির অভিযোগ বিএনপি তুলে ধরবে, কমিশনের বক্তব্য কমিশন উপস্থাপন করবে। 

এর আগে গত বুধবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে করপোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র, সিইসি, নির্বাচন সচিব ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাসহ নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বিএনপির পরাজিত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।

মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার রাশেদুল হক, সিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার মেহেদী হাসান, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

কেএম/ওএফ