চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, সচিব আনোয়ার পাশাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে চট্টগ্রামের প্রথম শ্রম আদালত। 

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) শ্রম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ এ আদেশ দেন। 

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী আলী নেওয়াজ খান। তিনি বলেন, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ প্রকাশ ডলফিন, প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, সচিব আনোয়ার পাশা,  উপ-সচিব (ভারপ্রাপ্ত সচিব) অমল গুহ ও অর্থ ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজেরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি গ্রহণ আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। এছাড়া আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আসামিদের আদালতে হাজির হয়ে ৫ জনকে জামিন নিতে বলা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ বৈধ ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রমের কারণে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের  উচ্চমান সহকারী ও কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানকে অপসারণ করা হয়। এরপর ২০১৪ সালের ১ জুন চাকরিচ্যুত করার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের প্রথম শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করেন হাবিবুর রহমান। ২০১৪ সালে গত ২৪ জুলাই অপসারণ (টারমিনেশন) আদেশ বাতিল করে আদালত রায় দেন। রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে হাবিবুর রহমানের সকল বকেয়া বেতন ভাতা প্রদান পূর্বক স্বপদে ও সমবেতনে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ প্রদান করেন। ওই বছরের ২৮ জুলাই রায়ের অনুলিপি সংগ্রহ করে হাবিবুর রহমান সশরীরে সিডিএতে গিয়ে চাকরিতে যোগদানপত্র দাখিল করেন।

একই তারিখে যোগদানপত্র যথা নিয়মে রেজি: ডাকযোকেও প্রেরণ করেন। গত ৩ আগস্ট পুনরায় যোগদানের জন্য মানবিক আবেদন ডাকযোগে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু মামলার আসামি ৫ জনই একে অপরের যোগসাজশে ইচ্ছাকৃতভাবে হাবিবুরকে চাকরিতে পুনর্বহাল করেননি। যা আদালতের রায়ের প্রতি সরাসরি অবজ্ঞা প্রদর্শন করা। আসামি ৫ জন পরস্পর পরস্পরের যোগসাজশে স্বপদে হাবিবুর রহমানকে যোগদান না করে, বকেয়া বেতন, ভাতা পরিশোধ না করে, মিথ্যার আশ্রয় ও ছলচাতুরীর আশ্রয় গ্রহণ করেন। 

কেএম/এসকেডি