আসামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাইকমিশনার ইমরানের সাক্ষাৎ
দ্বিপাক্ষিক গূরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শনের লক্ষ্যে ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্য সফর করছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। সফরে আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশি দূত।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) হাইকমিশনার ইমরানের সঙ্গে আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের বাসভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে হাইকমিশনার দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গূরুত্বারোপ করেন।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নে পথে অনেকদূর অগ্রসর হয়েছে এবং অর্থনৈতিকভাবে অনেক সুদৃঢ় অবস্থানে।
বাংলাদেশ বর্তমান উন্নয়ন চিত্র সম্পর্কে আসামের জনগণেকে পরিচিত করাতে এবং দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সাংস্কৃতিক ভাববিনিময় এবং ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের মাধ্যমে এ দুই অঞ্চলের জনগণের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপনের প্রতি হাইকমিশনার জোর দেন।
বিজ্ঞাপন
মুখ্যমন্ত্রী সোনোয়াল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানো ও বাণিজ্য জটিলতা নিরসনে দুদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধি এবং আমদানি রপ্তানির সঙ্গে সরাসরি জড়িতদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক ও যোগাযোগের ওপর গূরুত্বারোপ করেন। বৈঠকে গৌহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার ও নয়াদিল্লীর প্রথম সচিব উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, হাইকমিশনার ইমরান বৃহস্পতিবার তামাবিল শুল্কস্থলবন্দর ইমিগ্রেশন কেন্দ্র পরির্দশন করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যাবসায়ী প্রতিনিধি, তামাবিল চুনাপাথর ,পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ এবং তাবামিল ইমিগ্রেশন ও কাস্টামস কর্মকর্তারাসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সংলগ্ন বধ্যভুমি পরির্দশন করেন ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে উজ্জল হয়েছে। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গভীর থেকে গভীরতর হয়েছে।
ইমরান বলেন, প্রতিবেশী ভারতের আসামসহ উত্তরপুর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন এবং বিকাশে দুই দেশের সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এলক্ষ্যে ভারতে আমাদের মিশনগুলো আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
এ সময় হাইকমিশনার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে উদ্ভূত বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে সর্বাত্মক সহযোগিতা আশ্বাস দেন।
একইদিন হাই কমিশনার মেঘালয়ের ডাউকী শুল্ক স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন কেন্দ্র পরির্দশন করেন এবং স্থানীয় ভারতীয় ব্যাবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় ভারতের প্রস্তাবিত নতুন শুল্কস্থল বন্দর এলাকা পরিদর্শন করেন।
সেদিন সন্ধ্যায় হাইকমিশনার শিলং-এ মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী, কনরাড সাংমা ও মেঘালয় সফররত ভারতের লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া মেঘালয়ের প্রাদেশিক সভার স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গেও হাই কমিশনারের দেখা করেন।
এর আগে হাইকমিশনার ইমরান আসামের গভর্নর জগদীশ মুখী মেঘালয়ের গভর্নর সত্য পাল মালিকে ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস্টন টিনসং-এর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এনআই/এসএম