টিকা অবশ্যই নেব, জনগণ আগে
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টিকা অবশ্যই নেব। তবে আগে আমার দেশের মানুষের কত শতাংশ পেল, কত জনকে দিতে পারলাম সেটা আমি আগে দেখতে চাই। কারণ আমার একটি টিকার জন্য আরেক জন মানুষের জীবন যদি বাঁচে সেটাই বড় কথা।
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে- এ সুখবরটি দেশবাসীকে জানাতে শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বক্তব্য শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে, কবে করোনার টিকা নেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
শেখ হাসিনা বলেন, আমি তো আছি, ৭৫ বছর বয়সে আজ আছি, কাল নেই। হায়াত-মউত কে বলতে পারে? যেকোনো সময় মারা যেতে পারি। আমাদের একটি টার্গেট করা আছে (টিকা নেওয়ার সংখ্যা)। সেটা যখন হবে, এরপরে আমারটা আমি নেব, যদি বেঁচে থাকি।
সংবাদ সম্মেলনে সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা অর্জন করেছি। আমি এই অর্জনকে উৎসর্গ করছি, আমাদের নতুন প্রজন্মকে। যারা আজকের বাংলাদেশকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, সমগ্র জাতির জন্য এটা অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের। আমাদের এই উত্তরণ এমন এক সময় ঘটল, যখন আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। আমরা মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক যুগ আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। ২০০৮-০৯ বছরে জিডিপির আকার ছিল মাত্র ১০৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯-২০ সালে তা ৩৩০.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এই ১২ বছরে সরকারি ব্যয় ৪.৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, ৮৭ হাজার ৯৬০ কোটি থেকে ২০১৯-২০ বছরে চার লাখ ১৫ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা হয়েছে।
আরএম/এফআর