সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে রক্তের অভাবে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পড়ে গিয়েছিলেন এক প্রসূতি মা। কোনোভাবেই রক্তের ব্যবস্থা হচ্ছিল না। তখনই এগিয়ে এলো ছাত্রলীগ। এক ছাত্রলীগ কর্মীর রক্তে বেঁচে উঠলেন সেই প্রসূতি মা। পরে প্রধানমন্ত্রীর নামের সঙ্গে মিল রেখে বাবা-মা নবজাতক মেয়ের নাম রাখলেন ‘হাসিনা’। 

তথ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন মা-মেয়ে দুজনই এখন ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই প্রসূতি নারীর রক্তের প্রয়োজন পড়ে। রাত তিনটার দিকে চিকিৎসক জানান, রক্ত ছাড়া প্রসূতিকে বাঁচানো সম্ভব নয়। কিন্তু কোনোভাবে রক্তের ব্যবস্থা করতে পারছিল না তার পরিবার।

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা দরিদ্র রোগীর পরিবার ছাত্রলীগের ভার্চুয়াল ব্লাড ব্যাংকের কথা জানতে পারে এবং এর কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই রক্তের গ্রুপ জানতে রাত জেগে ছাত্রলীগ কর্মীরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে যোগাযোগ করেন। অবশেষে তারা কবি নজরুল কলেজের এক ছাত্রলীগের কর্মীকে খুঁজে পান।

ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সঙ্গে সেই ছাত্রলীগ কর্মী

তখনই হাসপাতালে ছুটে এসে ছাত্রলীগের ওই কর্মী রক্ত দেন। রক্ত দেওয়ার পর বেঁচে যান সেই মা। জন্ম দেন কন্যাশিশুর। নবজাতকের বাবা-মা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে কন্যার নাম রাখেন ‘হাসিনা’।

তারা বলেন, ছাত্রলীগের সেই কর্মী রক্ত না দিলে আমাদের মেয়েকে পৃথিবীর মুখ দেখাতে পারতাম কি না তা বলতে পারব না। তাই ছাত্রলীগের অভিভাবক শেখ হাসিনার নামে আমাদের মেয়ের নাম রেখেছি হাসিনা। আমাদের মেয়ে বড় হয়ে শেখ হাসিনার আদর্শ নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করবে। 

এএজে/আরএইচ