২০৩০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে অর্থায়ন অব্যাহত রাখতে বৈশ্বিক জোট গ্যাভিকে অনুরোধ জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের ক্যাবিনেট কক্ষে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং ও গ্যাভি অ্যালায়েন্স মিশন টু বাংলাদেশের মধ্যকার ‘জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি শক্তিশালীকরণে সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ অনুরোধ জানান বক্তারা।

সভায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহল হক বলেন, গ্যাভি আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু। তাদের সহায়তায় আমাদের স্বাস্থ্যসেবা অতীতে অনেক উন্নতি করেছে, ভবিষ্যতেও করবে। বিশেষ করে বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অবদান মনে রাখার মতো। ডিসেম্বরে গ্যাভি বোর্ডের বৈঠক। আমি বলবো, গ্যাভির সঙ্গে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিসহ অন্যান্য টিকা প্রাপ্তির বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য। তাতে আগামী দিনগুলোতে টিকা প্রাপ্তির বিষয়টি সহজ হবে।

সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ২০২৭ সালে বাংলাদেশের জন্য গ্যাভির ফান্ডিং শেষ হবে। আমরা গ্যাভির কাছে এই ট্রানজিশন পিরিয়ডটা অন্তত ২০৩০ সাল পর্যন্ত চাই। আমি মনে করি স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে। একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে, রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা বিনামূল্যে ভ্যাকসিন চাই না, আমরা আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে চাই।

গ্যাভির কান্ট্রি ম্যানেজার নিলগান আয়দোগান বলেন, আমরা সংসদ সদস্যদের আলোচনার বিষয়গুলোকে আমাদের অ্যাকশন পয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করছি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, এই দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি খুব দ্রুত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সামনের দিনগুলোতে আমাদের নীতি অনুযায়ী অর্থায়ন কমে যেতে পারে। তবে আমরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি এবং সংসদ সদস্যদের পরামর্শগুলো বিবেচনা করার সুযোগ রাখছি।

সভায় আরও ছিলেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, গ্যাভি সিএসও স্টিয়ারিং কমিটির ভাইস-চেয়ার ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক, সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, ড. আব্দুস শহীদ, আরমা দত্ত, হাবিবা রহমান খান, কানিজ ফাতেমা বেগম, উম্মে কুলসুম স্মৃতি প্রমুখ।

এমএইচএন/আরএইচ