প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজস্থানে খাজা গরীবে নেওয়াজ দরগাহ শরিফ তথা আজমির শরিফ জিয়ারত ও প্রার্থনার মাধ্যমে তার চার দিনের ভারত সফর শেষ করলেন।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে রাজস্থানের জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইট।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী সেখানে নফল নামাজ ও মোনাজাতের মাধ্যমে দেশ, জনগণ ও মুসলিম উম্মাহর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছু সময় থাকেন। এ সময় তিনি ফাতিহা পাঠ ও মোনাজাত করেন। এরপর শেখ হাসিনা আজমির শরিফ প্রদক্ষিণ করেন। 

৫ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লীতে নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ জিয়ারত ও সেখানে প্রার্থনার মাধ্যমে তার ভারত সফর শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।

সফরের প্রথম দিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর তার সঙ্গে দেখা করেন।

৬ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও একান্ত বৈঠক করেন। নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান এবং তাকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর অভিন্ন নদী কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারসহ নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। 

দুই প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের যৌথ উদ্যোগের বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে খুলনার রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে।

পরে যৌথ বিবৃতিতে ভারত বাংলাদেশি পণ্য তৃতীয় কোনো দেশের রপ্তানির জন্য ফ্রি ট্রানজিটের প্রস্তাব দেয়। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি দু’দেশের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। একই দিন শেখ হাসিনা তার সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যহ্নভোজে যোগ দেন।

তিনি ওইদিন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপ-রাষ্ট্রপতি জাগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।

৭ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল (বুধবার) ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদান অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন।

বাসস

এসএম